জামালপুরের ইউএনওর নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বারান্দার খুটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আনসার ব্যারাকে এঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কোয়াটার বেলী-১, হাসনাহেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের বিগত দুই বছরের পল্লী বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম মো. শেখ ফরিদের নির্দেশে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনিশিয়ান মো. ইকবাল হোসেন ও শাহজামাল ইয়াছিন নামের দুই কর্মচারী বকেয়া বিলের জন্যে উপজেলা চত্বরে যান। পরে উদ্বর্তন কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা পরিষদের কোয়াটার বেলি ১, হাসনা হেনা ১ ও আনসার ব্যারাকের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নের কথা ব্যারাকে অবস্থানরত আনসারদের জানালে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসানকে ফোনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি অবগত করেন। একপর্যায়ে ইউএনওর নির্দেশে আনসারগণ বিদ্যুত লাইন বিচ্ছিন্ন করতে আসা ইকবাল হোসেনকে আনসার ব্যারাকের বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন।
ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনিশিয়ান মো. ইকবাল হোসেন জানান, আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ও শাহজামাল ইয়াছিন আনসার ব্যারাকে যাই। সেখানে আনসারদের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বললে তারা বাধা দেন এবং ইউএনও স্যারকে ফোন দেন। ইউএনও স্যার ফোনে আমাদের কে পাঠিয়েছেন প্রশ্ন করলে আমরা তাকে উদ্বর্তন কর্মকর্তার কথা জানাই। এক পর্যায়ে ইউএনও স্যার ব্যারাকের আনসারদের নির্দেশ দেন আমাদের বেধে রাখতে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশে তারা আমাকে বারান্দার খুটির সাথে বেধে রাখেন।
দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের এজিএম মো. শেখ ফরিদ জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কোয়াটারের বেলী-১, হাসনাহেনা-১, ও আনসার ব্যারাকের বিগত দুই বছরের পল্লী বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। উর্দ্ধতনের নির্দেশ মোতাবেক সেই বকেয়া বিলের জন্যে লাইন টেকনিশিয়ান মো. ইকবাল হোসেন শাহজামাল ইয়াছিনকে পাঠিয়েছিলাম। আমি ধারণা করিনি এতেই এমন ঘটনা ঘটবে।
দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ইয়াহিয়া সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। ওই কোয়াটারের দুই বছরের অধিক সময়ের বিদ্যুেেতর বিল বকেয়া রয়েছে। সে কারণেই লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে তা আশা করিনি।
ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, তারা না জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেছে। এজন্য হয়তো আনসার সদস্যরা বাধা দিয়েছে। বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। আপনাদের এ নিয়ে কিছু লিখার প্রয়োজন নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন