জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সরকারিভাবে দুঃস্থ গরিব অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে ভিজিএফ কার্ডের ১০ কেজি করে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৬ জুন) উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনাও ঘটে। পরে তাড়াহুড়ো কে চাল বিতরণ শেষ না করেই ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা।
চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহায় দুঃস্থ গরিব অসহায়দের বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৭ হাজার ৫০০ জনকে ১০ কেজি করে চালের কার্ড প্রদান করা হয়। যা ১২,১৩, ১৪ জুন তারিখে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই কার্ডের মাধ্যমে চাল প্রদান করার কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত কার্ডধারী চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে বসে আছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়ার কাছে এ সমস্যা কেন হলো জানতে চাইলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন আমি কোনো অনিয়ম করি নাই। আমি সব কার্ডধারীকে চাল দিয়ে দিয়েছি।
ভিজিএফ কার্ডধারী চরমাদার গ্রামের আব্দুল সামাদ বলেন, আমি গতকালও চালের জন্য এসেছিলাম। চেয়ারম্যান বলেছেন আজকে দেবেন। আজকেও আমি সারাদিন কাজ কামাই দিয়ে আসলাম। এসে দেখি অফিস বন্ধ। মেম্বারকে কল দিলাম, সে বলল চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে। চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম, চেয়ারম্যান আমায় ধমক দিয়ে মেম্বারের কাছে গিয়ে চাল নিতে বলে।
ভুক্তভোগী কার্ডধারী আকন্দ পাড়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, অসুস্থ অবস্থায় আমার স্বামীকে রেখে এখানে চালের জন্য এসেছি। কিন্তু এরা আমাকে এতক্ষণ বসিয়ে রেখে, এখন বলে যে চাল দেবে না, চাল শেষ।
ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার আতিক হাসানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,যারা চাল পাননি তাদেরকে ঈদের পর দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বিষয়টি জেনে, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি, কার্ডধারী যারা চাল পায়নি তাদেরকে চাল বিতরণের ব্যাবস্থা নিতে বলেছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন