জামালপুরে উচ্চ ফলনশীল বিনা চিনাবাদাম-৬ এর বাম্পার ফলন

কৃষি মন্ত্রানালয় গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষি ভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল চিনা বাদাম-৬ এর চাষ হওয়ায় এবার মৌসুমে বাম্পার পলন হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায় গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে জামালপুর সদর উপজেলার খ্যাতি রয়েছে। এ উপজেলার প্রায় সর্বত্রই শাক সবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের ফসল চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ার চর, বালুরচর, সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্চ ফলনশীল বিনা চিনাবাদাম-৬ এর চাষ হওয়ায় ব্যপক ফলন হয়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তার এ প্রতিবেদক কে বলেন, চিনাবাদাম-৬এর বাম্পার ফলনের পেছনে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করছে। যারজন্যে বাম্পার ফলন হয়েছে। টেবিরচরের কৃষক নাছির উদ্দিন(৪০) জানান, চিনা বাদাম-৬ এর চাষ করার জন্য কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরন সহ ব্যপক পরামর্শ দিয়েছে।

তাদের পরামর্শেই চিনা বাদাম-৬এর চাষে সাফল্য এসেছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা আজ স্বাবলম্বি।

কৃষি মন্ত্রনালয় এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। উচ্চ ফলনশীল চিনাবাদাম-৬ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলোর বেশ কয়েকজন চিনাবাদাম চাষীর সাথে কথা হয় এর মধ্যে ডাংধরা গ্রামের কৃষক শহীদ(৪৮) কাদের (৫০) জানান, এবার চিনাবাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তারা আরো বলেন, ডাংধরা পাররামপুর হাতিবান্দা,বগারচর, বাট্রাজোর, চিকাজানী সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় চিনাবাদামের যে পরিমান ফলন হয়েছে যা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য উচ্চ ফলনশীল চিনা বাদাম-৬ এর চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় কৃষি অর্থনীতিতে প্রান সার হয়েছে।