জামালপুরে উন্নতজাতের মুরগি পালন দিন দিন বাড়ছে

গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন মহিলারা স্বাবলম্বি হওয়ার লক্ষ্যে উন্নত জাতের মুরগি পলান শুরু করেছে। উন্নত জাতের মুরগি পালন করায় অধিকাংশ গ্রামীন মহিলা স্বাবলম্বি হয়েছে পাশাপাশি বেকার যুবক শ্রেনি উন্নত জাতের মুরগি পালনে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও পশু সম্পদ পালনে বেশ এগিয়ে রয়েছে। এ উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই উন্নত জাতের মুরগি পালন না হচ্ছে। বিশেষ করে আমেরিকান বাহামা সাদা, আমেরিকান বাহামা লাল, বাহামা বাফ সিল্কি সাদা, সিল্কি কালো , সিল্কি গোল্ডেন, পালিস কাপ, ফিজেল, ফাইটার, গোল্ডেন ব্রাইট, স্যারোমা জাতের মুরগি পালন হচ্ছে। সরেজমিনে, শ্রীপুর, বাঁশচড়া, রানাগাছা, সাহাবাজপুর, ইটাইল সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন মহিলা উদ্যোক্তার সাথে এর মধ্যে ফাতেমা(২৮) কুসুম(৩০) জানান, তারা যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে উন্নত জাতের আমেরিকান বাহামা লাল, বাহামা সাদা সহ আরো বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করছে। এ সব মুরগির ব্যপক চাহিদা। তারা আরো বলেন, উন্নত জাতের মুরগি পালনে খরচ বেশি হলেও দাম ভালো পাওয়া যায়। যার জন্যে অনেকেই উন্নত জাতের মুরগি পালন করছে।

উন্নত জাতের মুরগি পালন মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উপজেলা গুলোর এমন বাড়ী নেই উন্নত জাতের মুরগি পালন না হচ্ছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, মেষ্টা, বালিজুরি, ডাংধরা, পাররামপুর,সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এ সব এলাকার অনেক যুব মহিলা, বাহামা সাদা, বাহামা লাল, সিল্কি গোল্ডেন জাতের মুরগির খামার করেছে। এর মধ্যে ভাটারা গ্রামের রাসেদা(২৮) ডাংধরা গ্রামের আমেনা(২৫) উন্নত জাতের মুরগির খামার করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের খামারে ২ থেকে ৩ শত উন্নত জাতের মুরগি রয়েছে। মহিলা উদ্যোক্তা রাসেদা এ প্রতিবেদক কে বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে স্বল্প সুদে ঋন সুবিধা পেয়ে উন্নত জাতের মুরগির খামার করেছি। এ খামার থেকে খরচ বাদে লাক্ষাধিক টাকা আয় হচ্ছে। এ সব এলার সমাজ সেবকদের প্রশ্ন করা হলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, উন্নত জাতের মুরগি পালন করে অধিকাংশ যুব মহিলার আত্মকর্মসংস্থান ও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।