জামালপুরে কবুতর পালনে গ্রামীন মহিলারা আত্মনির্ভরশীল

সরকার গ্রামীন মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করার জন্য সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। গ্রামীন যুব মহিলারা ঝুঁকে পড়েছে কবুতর পালনে। কবুতর পালন করে অনেক পরিবারে স্বচ্ছলাতা ফিরে এসেছে। কবুতর পালন ছিলো সরকারের গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার প্রকল্প।

জানা যায় জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি নির্ভর এলাকা হলেও গ্রামীন মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সরকার কবুতর পালনে উদ্যোগ গ্রহন করে। সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষীর চর, রায়েচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, রানাগাছা, শরিফপুর,ইটাইল, নরুন্দি সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে যুব উন্নয়নের সহায়তায় প্রায় ৩শতাধিক যুব মহিলা প্রশিক্ষন নিয়ে কবুতর পালনে উদ্যোগ গ্রহন করে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা গেছে বাড়ী বাড়ী কবুতর খামার। প্রতিটি বাড়ীতে থেকে ৩শতাধিক কবুতর পালন করছে। লক্ষীর চর গ্রামের নাসিমা(২৫) জানান, একজোড়া বাচ্চার দাম ২শ টাকা। প্রতি মাসে খরচ বাদে আয় হচ্ছে ১০হাজার টাকা।

সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। কবুতর পালন ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কবুতর পালন সম্পর্কে যুব উন্নয়নের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান বিভিন্ন এলাকার যুব মহিলাদের কবুতর পালনে প্রশিক্ষন সহ আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়। যার জন্যে কবুতর পালন ব্যপক আকার ধারন করছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা কামরাবাদ নাংলা, আদ্রা, চরপলিশা,ঘুরে, দেখা গেছে বাড়ী বাড়ী কবুতরের সমারোহ। ভাটারা গ্রামের হালিমা(২০) জানান, প্রতিমাসে কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা আয় হচ্ছে। এ ব্যপারে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকার গ্রামীন মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কবুতর পালনে যুব মহিলাদের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে যুব মহিলারা উদ্যোক্তায় পরিনত হয়েছে।