জামালপুরে কাঁঠাল বাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় কাঠাল বাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনিতেই জামালপুর জেলায় এমন কোন গ্রাম বা বাড়ী নেই যে কাঠাল গাছ নেই। প্রত্যেক বাড়ীতেই দু-চারটা করে কাঁঠাল গাছ আছে। কিন্তু কাঁঠাল বাগান খুব একটা নেই। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার কাঠাল বাগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষকদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের কাঠালের চারা বিতরণ করায় অনেকে কাঁঠাল বাগানে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আবার অনেকে কাঁঠাল বাগান করে স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। বর্তমানে কাঁঠালের চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ার ফলে কাঁঠাল এখন মৌসুমী অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।

জানা যায় জামালপুর সদর উপজেলা কাঁঠাল বাগান সর্মৃদ্ধ এলাকা। সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলাধীন শ্রীপুর, বাঁশচড়া, সাহাবাজপুর, তুলশীপুর, পলাশতলা, শরিফপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় অসংখ্য কাঁঠাল বাগন গড়ে উঠেছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা যায় বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে কৃষকরা কাঁঠাল বাগান গড়ে তুলেছে আর বাগানে সাথি ফসল হিসেবে আঁদা ও হলুদের চাষ করছে। কথা হয় শ্রীপুর গ্রামের কৃষক আবুল ফজল(৫৫) ও কাদের(৪৮) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, কাঁঠাল মৌসুমী ফল হলেও এবার মৌসুমে বাম্পাল ফলন হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে দেড়শ কাঁঠাল ঝুলছে। তিনি আরো বলেন এবার মৌসুমে যে পরিমান কাঁঠাল হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে কোটি টাকার বানিজ্য হবে।

সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের মধ্যে কাঁঠাল বাগান ছিলো অন্যতম। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলার কৃষকরা মৌসুমী আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, নাংলা, আদ্রা, পাথরশী, পাররামপুর এলাকায় কাঁঠাল বাগান ব্যপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সাথে, তারা প্রতিবেদক কে বলেন কৃষক বান্ধব আওয়ামীলগ সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য বিভিন্ন কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্প নিয়ে থাকে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে। কাঁঠাল মৌসুমী ফল হলেও কৃষক পর্যায়ে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।