জামালপুরে কৃষি বিভাগের সমবায় ভিত্তিক সমন্বয় প্রকল্প গ্রহন

গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার সারা দেশের ন্যায় কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জামালপুরে সমবায় ভিত্তিক সমন্বয় প্রকল্প গ্রহন করেছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সমায়ের ভিত্তিতে চাষাবাদের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুসংগঠিত করে কৃষকদের কে স্বাবলম্বি করা। কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গতি সার হবে পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি মন্ত্রনালয় কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ উপজেলাধীন লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচ্, চর গজারিয়া, চর যথার্থপুর, ইটাইল, নরুন্দি,রানাগাছা, শ্রীপুর, বাশচড়া, সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় সমবায়ের মাধ্যমে সমন্বয়ে চাষাবাদ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে কৃষকরা সবধরনের ফসল চাষাবাদ করতে পারে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, সরকার গ্রামীন অর্থনীতি উন্নয়ন ও কৃষকদের স্বনির্ভর করার জন্য সমন্বয় প্রকল্প গ্রহন করেছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে শাক সবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের ফসল চাষ করা হবে। উচ্চ ফলনশীল বীজ ,সার, বিতরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে সমন্বয় প্রকল্প কৃষি শিল্পকে জাগ্রত করবে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে দিয়েছে। এ উপজেলাধীন মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, ডোয়াইল, আওনা, মেষ্টা, বালিজুড়ি, ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর,চিকাজানি সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় সমবায়ের মাধ্যমে কৃষক সমন্বয়ে চাষাবাদ করা হবে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় কৃষক সালাম(৪০) আবেদ আলী(৪৮) এর সাথে তারা ববেলন, সমন্বয়ের মাধ্যমে চাষাবাদ হলে সরকার চারা লাগানো কাটা পর্যন্ত সহযোগিতা করবে। পাশপাশি উচ্চ ফলনশীল বীজ সার ও আর্থিক সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে।

এ সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন সমন্বয় প্রকল্প সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি শিল্পের মাধ্যমে কৃষকরা স্বনির্ভরতা অর্জন করবে। যে কোন ফসল উৎপাদনে বাম্পার ফলন হবে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।