জামালপুরে গ্রীষ্মকালীন মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে গ্রামীন মহিলারা স্বাবলম্বি

প্রধান উপদেষ্টা ড.মো.ইউনুস স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৃষক সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষি ভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে গ্রীষ্মকালীন মাঁচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ দিন দিন বাড়ছে।

গ্রীষ্মকালীন লাউ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের পাশাপাশি স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা গ্রীষ্ম কালীন লাউ চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র লাউ চাষ করে থাকে। বিশেষ করে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর গজারিয়া, চর যথার্থপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলকায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কিষানীর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করা হচ্ছে। লক্ষীর চরের কিষানী জমিলা(৩০) আসমা(২৮) জানান মাঁচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ কৃষি বিভাগ শিখিয়ে দেয়ায় ও উদ্বুদ্ধ করন সহ ব্যপক পরমর্শ দিয়েছে।

যার জন্যে গ্রীষ্ম কালীন লাউ চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, গ্রীষ্ম কালীন লাউ চাষে গ্রামীন কিষানীদের উদ্বুদ্ধকরন করা হয়েছে। ফলে লাউ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৃষক সমবায় সমন্বয় প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ সব উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকার কিষানীরা মাঁচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

সরেজমিনে ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা,বগারচর, মহাদান, ভাটারা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে শুরু করে ফসলি জমিতে সারি সারি লাউ গাছের সমারোহ। গাছে ঝুলছে অসংখ্য লাউ।

এ ব্যপারে এসব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে এ প্রতিবেদক কে বলেন গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীন কিষানীদের উদ্যোক্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রনালয় বহুবিধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ সব প্রকল্পের কারনে গ্রামীন কিষানীরা স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।