জামালপুরে জিরা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা

সারাদেশের ন্যায় জামালপুর কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। সরকারের কৃষি নির্ভর সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় এ জেলাকে ঘিরে। গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা ও কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জিরা চাষের উদ্যোগ নিচ্ছে। জেলার ৭টি উপজেলায় জিরা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কৃষককূল স্বাবলম্বি হবে পাশাপাশি গ্রামীন অর্থনীতি গতিশীল হয়ে পড়বে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলার চরা ল গুলো দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করে ফেলছে। সরকারের জিরা চাষ প্রকল্প কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতাভূক্ত। এ উপজেলাধীন লক্ষিরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর যথার্থপুর, রানাগাছা, শ্রীপুর, বাশচড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় জিরা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে।

জিরা যেহেতু আমদানি নির্ভর। কৃষি বিভাগ একটু সজাগ হলে জিরা চাষ করা সম্ভব। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, এলাকার অনেক কৃষক জিরা চাষের আগ্রহী। এর জন্য কৃষি বিভাগের উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষি বিভাগ সহায়তা করলেই জিরা চাষ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

কথা হয় লক্ষীরচরের কৃষক সাত্তার(৪২) এর সাথে তিনি জানান জিরা খুবই লাভজনক ফসল। দাম বেশি কৃষি বিভাগ সহায়তা করলেই জিরা চাষ বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যপারে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,এ অ লের মাটি আবহাওয়া জিরা চাষ উপযোগী।

সার বীজ দিয়ে সহায়তা করা হবে। আশা করা যাচ্ছে আগামীতে জিরা চাষ বৃদ্ধি পাবে।

সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ জিরা চাষ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামাপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগ জিরা চাষ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। সরেজেিমনে মহাদান,ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, ডোয়াইল, আওনা, মেষ্টা, বালিজুড়ি, পাররামপুর ও ডাংধরা এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন কৃষক জানান কৃষি বিভাগ যে ভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

তাতে ধারনা করা হচ্ছে জিরা চাষ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়বে। ডাঙধরা গ্রামের কৃষক কদ্দুস আলী(৬০) জানান, কৃষক বান্ধব অন্তবর্তী সরকার কৃষক স্বাবলম্বি করার জন্য একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকারের প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।