জামালপুরে জৈব সার প্রয়োগে নিরাপদ ঢেড়স চাষ বাড়ছে

সারা দেশের ন্যায় জামালপুর কৃষি নির্ভরশীল এলাকা। এ জেলাকে নিয়ে সরকার যে কোন কৃষি প্রকল্প নিয়েছিলো কৃষি বিভাগ তা বাস্তবায়ন করায় জেলার ৭টি উপজেলায় নিরাপদ বিষমুক্ত ঢেড়স চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢেড়স চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চল গুলো ঢেড়স চাষের ব্যপক খ্যাতি রয়েছে। লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর গজারিয়া, চর যথার্থপুর, শ্রীপুর ও বাঁশচড়া এলাকায় ব্যপক ঢেড়স চাষ হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ এ এলাকা গুলো নিয়ে নিরাপদ বিষমুক্ত ঢেড়স চাষ প্রকল্প বাস্তয়ন করেছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, নিরাপদ বিষমুক্ত ঢেড়স চাষের জন্য কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে ব্যপক সহায়তা করেছে। জৈব সার প্রয়োগ ও পোকা-মাকড় দমনে ফাঁদ পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়ায় ঢেড়সের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ দিকে সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামাপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলাগুলোর এমন কোন এলাকা নেই যেখানে নিরাপদ বিষমুক্ত ঢেড়সের চাষ না হয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডাংধরা, পাররামপুর, হাতীবান্ধা, বগারচর, বাট্টাজোড়, পাথর্শী, মেষ্টা, নাংলা, ভাটারা সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকরা নিরাপদ বিষমুক্ত ঢেড়স চাষ করে কুষি শিল্পে নজীর স্থাপন করেছে।

কথা হয় ডাংধরা গ্রামের কুদ্দুস আলী (৫৮) ও সামাদ (৪০) এর সাথে তারা জানান, ঢেড়স চাষ বৃদ্ধির পেছনে কৃষি বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া, নিরাপদ বিষমুক্ত হওয়ায় ঢেড়সের চাহিদাও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে নেয়া মাত্রই শেষ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা ট্রাক বোঝাই করে রাজধানী শহর ঢাকা সহ দেশের বিভন্ন জেলায় নিয়ে থাকে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা জোরালো গতিতে ঘুরছে।