জামালপুরে টার্কি মুরগি পালনে অধিকাংশ গ্রামীন মহিলাদের কর্মের দুয়ার খুলছে

গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন মহিলাদের স্বাবলম্বি করার জন্য। অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সারাদেশের ন্যায় জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রকল্পের মধ্যে ছিলো টার্কি মুরগি পালন প্রকল্প। এ প্রকল্প জেলার ৭টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হওয়ায় অধিকাংশ গ্রামীন মহিলার কর্মের দুয়ার খুলেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও এ উপজেলার প্রায় এলাকায় টার্কি মুরগি পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমন কোন এলাকা নেই টার্কি মুরগি পালন না হচ্ছে। সরেজমিনে শ্রীপুর, ইটাইল রানাগাছ, বাশচড়া, সাহাবাজপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ী বাড়ী টার্কি মুরগির খামার।

কথা হয় শ্রীপুর গ্রামের মরিয়ম(২৭) ইটাইল গ্রামের রহিমা(২৯) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, টার্কি মুরগি পালনের জন্য বিভিন্ন এনজিও আর্থিক সুবিধা দিয়েছে পাশাপাশি যুবউন্নয়ন মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষন পরামর্শের কারনে অনেকেই টার্কি মুরগি পালন করে ব্যপক সফলতা পেয়েছে।

যারজন্যে টার্কি মুরগির খামার সর্বত্র গড়ে উঠেছে। এ ব্যপারে জেলা প্রানি সম্পদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান টার্কি মুরগি পালনে গ্রামীন মহিলাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে টার্কি মুরগি পালনে গ্রামীন অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাচ্ছে।

টার্কি মুরগি পালন প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এ উপজেলাধীন এমন কোন এলাকা নেই টার্কি মুরগি পালন না হচ্ছে। সরেজমিনে ভাটারা, কামরাবাদ, পাথরশী ,নাংলা, আদ্রা, পাররামপুর, হাতিবান্দা,নিলাকীয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় আমেনা (৩০) সালমা(২৫) লিপি(২৮) এর সাথে তারা বলেন, সরকার উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে টার্কি মুরগি পালনে ব্যপক সহায়তা করেছে। যুব উন্নয়ন থেকে স্বল্প সুদে আর্থিক সুবিধা দেয়ায় টার্কি মুরগি পালন করে অনেকেই সাবলম্বি হয়েছে।