জামালপুরে থাই গোল্ড কচু চাষে উৎসাহ বাড়ছে

প্রধান উপদেষ্টা ড: মো: ইউনুস কৃষি শিল্পকে জাগরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার অনু প্রেরনায় কৃষি মন্ত্রনালয় গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষি ভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

প্রকল্পের মধ্যে ছিলো থাই গোল্ড কচু চাষ। জেলার ৭টি উপজেলায় থাই গোল্ড কচু চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। ফলে থাই গোল্ড কচু চাষের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। কৃষক সমবায় সমন্বয়ের মাধ্যমে এ উপজেলার সর্বত্র শাক সবজী থেকে শুরু করে সব ধরনের ফসল চাষ হয়ে থাকে। এবার কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় থাই গোল্ড কচু চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। লক্ষীরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, শ্রীপুর, বাশচড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় থাই গোল্ড কচু চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যপক আগ্রহ বেড়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে এর মধ্যে লক্ষীরচরের কৃষক আজিজ(৪০) সামাদ(৪৮) এ প্রতিবেদক কে বলেন থাই গোল্ড কচুর ব্যপক ফলন হয়েছে। প্রতিটি কচুর ওজন ৩০ থেকে ৪০ কেজি আর কচুর উচ্চতা ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা।

লতি ৪ থেকে ৫ ফুট লম্বা হয়। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান থাই গোল্ড কচু চাষের জন্য কৃষক পযায়ে ব্যপক উৎসাহ দেয়া সহ নানাবিধ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যারজন্যে প্রতিজন কৃষক উদ্যোক্তায় পরিনত হয়েছে।

ড: মো: ইউনুসের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সর্বত্রই কৃষক পর্যায়ে থাই গোল্ড কচু চাষে আগ্রহ বেড়েছে। অনেকেই চাষ করে কৃষি শিল্পে নজীর স্থাপন করেছে।

সরেজমিনে মেষ্টা, ভাটারা, বাট্রাজোর, ডাংধরা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় ভাটারা গ্রামের কৃষক সেলিম(৩৫) ডাংধরা গ্রামের কৃষক কাদের(৪৮) এর সাথে তারা জানান, এ উন্নত জাতের কচু চাষের জন্য কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করেছে। ফলে থাই গোল্ড কচু এখন ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এ সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। থাই গোল্ড কচু চাষের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।