জামালপুরে নারিকেলের বাগানের দিকে ঝুঁকছে গ্রামীন মহিলারা

সরকার গ্রামীন অর্থনীতি ও মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষি ভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে ছিলো গ্রামীন মহিলাদের নারিকেলের বাগান করা। কৃষি বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় গ্রামীন মহিলারা আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নারিকেল বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও গ্রামীন মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ নারিকেল বাগানের উদ্যোগ নিয়েছে। সরেজমিনে শ্রীপুর, বাশচড়া, সাহাবাজপুর, তিতপল্লা, রশিদপুর, নরুন্দি, ইটাইল সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন গ্রামীন মহিলাদের সাথে এর মধ্যে শামীমা বেগম (৩০) রহিমা বেগম (২৮) এ প্রতিবেদক কে বলেন এ সব এলাকায় নারিকেল গাছ কমে যাচ্ছে।

তাই নারিকেলের বাগান করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ নারিকেলের চারা বিতরন করছে। এমন কি স্ব উদ্যোগে অনেকেই নারিকেলের বাগান করে যাচ্ছে। ফলে নারিকেলের বাগানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন। সরকার গ্রামীন মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নারিকেল বাগানের প্রকল্প নিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অসংখ্য গ্রামীন মহিলার আত্ম কর্মসংস্থান হবে।

সরকারের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে পতিত জমিতে নারিকেলের বাগান তৈরি করে ফেলেছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পাররামপুর, চিনাডুলি, পাথরশী সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে, বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি পতিত জমিতে নােিরকেল গাছের সমারোহ।

মহাদান গ্রামের ফাতেমা(৩০) জানান নারিকেল অর্থকরি ফসলে পরিনত হয়েছে। সে ১৫ শতাংশ জমির উপর নারিকেলের বাগান করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। এ ব্যপারে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন কৃষক সমবায় সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রামীন মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নারিকেল বাগানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে।