জামালপুরে নার্সারী শিল্প বিকাশে গ্রামীন নারীদের আত্ব কর্মসংস্থান

কৃষি মন্ত্রনালয় গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্ম কর্ম সংস্থানের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে নার্সারী শিল্প বিকাশে ব্যপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ায় জেলার সর্বত্র সবুজ বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে।

জানাযায় জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন যুব নারীর ক্ষমতায়ন ও আত্মর্কসংস্থানের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নার্সারী শিল্প গড়ে তুলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রীপুর,বাশচড়া, সাহাবাজপুর, রানাগাছা, নরুন্দি, ইটাইল সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার গ্রামীন যুব নারীরা শতাধিক নার্সারী গড়ে তুলেছে।

তাদের নার্সারীতে রয়েছে ফলজ, বনজ, ঔষধি সহ নানা জাতের গাছের চারা। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন যুব নারীদের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,সরকার গ্রামীন নারীদের আত্ম কর্মসংস্থান তৈরির জন্য নার্সারী শিল্প বিকাশে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা দিয়ে নার্সারী শিল্প গড়ে তুলতে ব্যপক সহায়তা করেছে। যার জন্যে নার্সারী শিল্প গড়ে উঠেছে।

সরকারের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তাবায়ন হচ্ছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, গ্রামীন যুব নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলার জন্য গ্রামীন যুব নারীদের নার্সারী শিল্পের দিকে সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সমবায় সমন্বয়ের মাধ্যমে নার্সারী শিল্প গড়ে উঠেছে।

ডাংধরা, পাররামপুর,হাতীবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর , মহাদান, ভাটারা, নাংলা, আদ্রা, এলাকার ২শতাধিক মহিলা নার্সারী শিল্প গড়ে তুলেছে। আরো অনেকেই নার্সারী গড়ে তুলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা এ প্রতিবদেক কে বলেন, সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমবায় সমন্বয় বেকার যুব নারীদের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য নার্সারী শিল্প গড়ে তুলতে সহায়তা করা হচ্ছে। এ শিল্প পুরোপুরি বিকশিত হলে গ্রামীন অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে।