জামালপুরে নিরাপদ বিষমুক্ত কচুর লতির চাষ বাড়ছে
কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হিসেবে জামালপুর জেলার খ্যাতি সর্বত্র। সরকার এ জেলাকে মডেল হিসেবে নিয়ে কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। জেলার ৭টি উপজেলায় বিষমুক্ত নিরাপদ কচুর লতির চাষ বাড়ছে। এক সময় কচুর লতি চাষ তেমন ছিলো না সামান্য আকারে চাষ হতো। বর্তমানে কৃষি বিভাগের সহায়তায় কচুর লতি চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপদ বিষমুক্ত হওয়ায় লতির ব্যপক চাহিদা বেড়েছে। যারজন্যে কচুর লতি অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন চরে কচুর লতি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে লক্ষীরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, শ্রীপুর, বাঁশচড়া এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে,এ সব এলাকায় ব্যপক ভাবে কচুর লতি চাষ হচ্ছে। কথা হয় কৃষক ফজর আলী(৬০) বাহাদুর(৫০)এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, বিষমুক্ত নিরাপদ কচুর লতি চাষ করার জন্য সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ প্রকল্প গ্রহণ করে।
কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যয়ে জৈব সার প্রয়োগ সহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়েছে। যারজন্যে কচুর লতি চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। তারা আরো জানান, নিরাপদ হওয়ায় বাজারে লতির ব্যপক চাহিদা। প্রতি মোঠা কচুর লতি ২০ থেকে ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজারে নিতে হয় না। বাড়িতেই নগদ বিক্রি হচ্ছে।
সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলা গুলোর সর্বত্রই কচুর লতি চাষ হচ্ছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে।
ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর, ভাটারা সহ আরো বেশ কয়েকটি কৃষক সাত্তার মিয়া(৫৫) জব্বার আলী(৪৮) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, সরকারের এ প্রকল্পের কারণে কচুর লতির ব্যপক চাহিদা। ব্যবসায়ীরা কচুর লতি ট্রাক ভর্তি করে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কচুর লতি লাভজনক ফসলে পরিনত হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন