জামালপুরে পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প

গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কৃষি বিভাগ সারাদেশের ন্যায় জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পতিত অনাবাদি জমিতে পুষ্টি বাগান প্রকল্প। বিশেষ করে মাচা পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ করা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষকরা স্বাবলম্বি হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি গতিশীল হয়ে পড়বে।

জানা যায় জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমূদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক শাক-সবজি চাষ হয়ে থাকে। এবার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, এ উপজেলাধীন কেন্দুয়া ইউনিয়নের বিনন্দের পাড়া গ্রামের হাফিজুর রহামান (৪০) ৩ শতক, তিতপল্লা ইউনিয়নের কাস্ট শিংগা পশ্চিমপাড়া দিঘূলী গ্রামের রাসেল মিয়া (৩৫) ৩শতক।

তিতপল্লা গ্রামের আয়নাল হক (৪০) ৩ শতক, দিগপাইত ইউনিয়নের পূর্বপাড়া দিঘূলী চকপাড়া, মঞ্জুরুল ইসলাম (২৮) এর ৩ শতক জমি ও কেন্দুয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মনিকা বেগম (২৫) এর ৩ শতক জমিতে মাচা পদ্ধতীতে শাক-সবজি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক কাজ চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অ লের কৃষক ও কিষানীরা শাক-সবজি চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বিতা অর্জন করবে।

কৃষি বিভাগের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যপক আকারে মাচা পদ্ধতিতে পুষ্টি বাগানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, বালিজুড়ি, মেষ্টা, ডাংধরা পাররামপুর, বাট্টাজোড় সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষক ও কৃষানিরা মাচা পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ শুরু করে দিয়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে অনাবাদি পতিত জমিতে সারি সারি মাচার উপর শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন শাক-সবজির গাছ। এ ব্যপারে এ সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হইলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, গ্রামীণ কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য এ প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির চাঁকা জোরালো গতিতে ঘুরছে।