জামালপুরে পাটের ফলনে ক্ষতির আশংকা
পাট চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা জামালপুর। গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্পের আওতায় জেলার সর্বত্র পাট চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। কৃষি বিভাগ সরকারি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষকরা পাটের বাম্পার ফলনের আশা করে ছিলো। কিন্তু তীব্র তাপদাহের কারনে পাট চাষে কৃষকরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফলে পাট উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর উপজেলাধীন চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যপক পাট চাষ হচ্ছে। পাট চাষ কে জনপ্রিয় ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে সহায়তা করছে। সরেজমিনে শ্রীপুর, বাঁশচড়া, সাহাবাজপুর, লক্ষীরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, নরুন্দি সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে অধিকাংশ কৃষকের সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, তীব্র খরা ও তাপদাহের কারনে পাট ক্ষেত ব্যপক হচ্ছে। প্রতিদিন সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। লক্ষীর চরের কৃষক সামাদ(৫০) জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে পাট চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তীব্রতাপদাহের কারনে পাট ক্ষেত গলার ফাঁসে পরিনত হয়েছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,কৃষকদের পাট ক্ষেত রক্ষার্থে ব্যপক সেচের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই পাট ক্ষেতের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।
গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ ডাংধরা, পাররামপুর, তাতীবান্দা, বগারচর, মেরুরচর, ঝগড়ারচর, পাথরশী, নাংলা, আদ্রা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা বেছে নিয়ে পাট চাষে ব্যপক সহায়তা করেছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরো বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে জানান,এবার পাট চাষের বাম্পার ফলন হলেও তীব্র খরা তাপদাহের কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কৃষক ফজলু(৪০) জানান,কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছে। আশাকরছি বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরো বলেন, গ্রামীন অর্থনৈতিক হলে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গাঁ হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন