জামালপুরে পাট চাষে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

পাট চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা ছিলো জামালপুর। এক সময় জামালপুরে ব্যপক পাট চাষ হতো। ফলনও বাম্পার হতো। এখন পাট চাষ অনেকাংশে কমে গেছে। পরবর্তীতে কৃষি শিল্পে ব্যপক আকারে বিপ্লব ঘটে। পাট চাষ কে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ব্যপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। সরকারের এই সফল উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পাট চাষে হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা পাট চাষের বিশেষ খ্যাতি ছিলো। চরাঞ্চল গুলোতে ব্যপক পাট চাষ হতো। এক সময় লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, চর যথার্থপুর,কাজিয়ার চর ছাড়াও সাহাবাজপুর, দিগপাইত, বাশচড়া এলাকায় পাট চাষের সমারোহ ছিল।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলোর অধিকাংশ কৃষকের সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন পাটের চাহিদা কমে যাওয়ায় পাট চাষ কমে গেছে। সরকার সার্বিক ভাবে সহায়তা করলে পাট চাষ আবার শুরু হবে।

এ ব্যপারে জেলা কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,পাট চাষ কে জনপ্রিয় ও লাভজনক করার লক্ষ্যে সরকার ব্যপক কর্মসূচী নিয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ সরবরাহ করা হবে। সরকারের এই সফল উদ্যোগ
বাস্তবায়িত হলে সর্বত্র পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

সরকারের এই কার্যক্রম কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়াগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, ডোয়াইল, আওনা, তাছাড়া নাংলা, আদ্রা, পাথরশী, বাট্রাজোর এলাকায় ব্যপক পাট চাষ হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে। এর মধ্যে কৃষক পর্যায়ে ব্যপক সাড়া পড়েছে। আশা করা যাচ্ছে পাট চাষে জামালপুরের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।