জামালপুরে পাট পাতা চা চাষের উদ্যোগ নেয়া জরুরী

গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষকের স্বাবলম্বি করার জন্য সরকার একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে জামালপুরে পাট পাতা চা চাষের উদ্যোগ। কৃষি বিভাগ এ প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করলে অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বি হবে। পাশাপাশি গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে আসবে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র ব্যপক পাট চাষ হয়ে থাকে। পাট পাতা দিয়ে চা তৈরি করা যায় অধিকাংশ কৃষক তা জানে না। এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বনে, পাট পাতা দিয়ে চা তৈরি হয়। এ চা খুবই স্বাস্থ্য সম্মত। রোগ বালাই দুর হয় এবং ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে।

পাট পাতা চাষের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা তৈরি কাজ হাতে নেয়া হবে। আশা করছি এ কাজে বেকার যুবক ও যুব নারীরা এগিয়ে আসবে। সরেজমিনে লক্ষীর চর, রায়ের চর, টেবির চর, কাজিয়ার চর, যর্থার্থপুর এলাকা ঘরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে এর মধ্যে কুদ্দস আলী (৫০) সামাদ (৪৮) জনান, পাট পাতা দিয়ে চায়ের উদ্যোগ নিলে পাট চাষে ব্যপক আগ্রহ বাড়বে। এতে অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বিতা অর্জন করবে।

কৃষি বিভাগের প্রকল্প হাতে নিলে, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার কৃষকরা ব্যপক উপকৃত হবে। তাছাড়া হারিয়ে যাওয়া পাট চাষ পুনরায় বৃদ্ধি পাবে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা কামরাবাদ মেষ্টা, বালিজুড়ি, ডাংধরা, পাররামপুর, হাতীবান্ধা সহ আরো বেশ কযেকটি এলাকার কৃষকদের সাথে কথা হয় এর মধ্যে কৃষক শাহজাহান আলী (৫০) হাবিব (৪৮) জানান, পাট পাতা দিয়ে চা তৈরি করা যায় এবার প্রথম শুনলাম। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ কে এগিয়ে আসতে হবে।

কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব। এ ব্যপারে এ সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, পাট পাতা চায়ের উদ্যোগ নেয়া হবে। সরকারি ভাবে সহয়তা করলে পাট পাতার চা জনপ্রিয় হবে। তাছাড়া অধিকাংশ কৃষক পাট চাষ করবে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির চাঁকা জোরালো গতিতে ঘুরবে।