জামালপুরে পানি সংকটে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ

গ্রামীন অর্থনৈতিক কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় জামালপুর কৃষি শিল্প বেশ চাঙ্গা হয়েছিলো। কৃষি শিল্প চাঙ্গা হলেও দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। পানি সংকটের কারনে সবজি ক্ষেতে সেচ কাজ দিতে পারছে না। যার জন্যে সবজি চাষে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। ফলে কৃষি শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলাধীন চরাঞ্চল গুলোতে ব্যপক সবজি চাষ হয়ে থাকে। গ্রামীন অর্থনৈতিক কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে লক্ষীরচর, রায়ের চর, টেবিরচর, ত’লশীরচর, কাজিয়ার চর, চর গজারিয়া, শ্রীপুর বাশচড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ শুরু করে। সবজিচাষ বৃদ্ধি পেলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে পানি নিয়ে।

সবজি ক্ষেতে রীতিমতো সেচ দিতে হচ্ছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, ভূগর্ভস্থ পানিরস্তর নিচে যাওয়ায় গভীর ও অগভীর নলকুপে পানি উঠছে না। তাছাড়া শ্যালো মেশিনে সেচ দিলেও তীব্র লোড শেডিং এর কারনে পানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তীব্র তাপদাহে সবজি ক্ষেত মরে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের হাপিত্যেস ভাব শুরু হয়েছে।

গ্রামীন অর্থনৈতিক কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক পরিসরে সবজি চাষ শুরু করে। সবজি চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিবিভাগ ব্যপক সহায়তা করে যাচ্ছে। ডাংধরা, পাররামপুর, হাতীবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর, চিকাজানি, বালিজুড়ি, মেষ্টা এলাকায় ব্যপক আকার ধারন করেছে।

এ এলাকা গুলোতে সবজি চাষ বৃদ্ধি পেলেও সেচের কারনে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা যায় বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে সারি সারি গ্রীষ্মকালীন সবজির বাগান। কথা হয় কৃষক সাত্তার মিয়া(৪০) কাদের(৪৮) এর সাথে তারা জানান, কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার সবসময় কৃষকদের স্বনির্ভর করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

কৃষি বিভাগ তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে সেচের অভাবে ব্যাঘাত ঘটলেও আশাকরা যাচ্ছে বাম্পার ফলন হবে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে।