জামালপুরে পেঁয়াজের বীজ চাষ শুরু, কৃষি শিল্পে নতুন দিনের আশা

জামালপুর কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজের বীজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। পেঁয়াজের বীজ চাষে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করেছেন বলে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। যার জন্যে পেঁয়াজের বীজ চাষ ব্যপক আকার ধারণ করেছে। এতে কৃষকরা লাভবান হন নি স্থানীয় বেকার যুবকদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

জানা যায়, সরকার কৃষি শিল্প ও কৃষকদের স্বনির্ভরতা করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচীর আওতায় রয়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ প্রকল্প। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে পেঁয়াজের বীজ রোপণ করার জন্য সদর উপজেলাধীন লক্ষীরচর,টেবিরচর,চরপাড়া,কাজিয়ারচর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা বেছে নেয়া হয়েছে। এ সব এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক কৃষক পেঁয়াজের বীজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে পেঁয়াজের বীজ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকদের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, পেঁয়াজের বীজ চাষে ও ফুল রক্ষার্থে বীজ ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কেউ সেচ আবার কেউ পোকা দমনের জন্য কীট নাশক প্রয়োগ করেন। তারা আরো বলেন পেঁয়াজের বীজ পরিপক্ক হতে ১৩০দিন সময় লাগে।

সরকারের সফল কার্যক্রম মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় কৃষি বিভাগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন ইতোমধ্যে ডাংধরা, পাররামপুর, বাট্রাজোর চিনাডুলি,মেরুরচর ও ঝগরারচর সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পেঁয়াজের বীজ চাষ শুরু হয়েছে। পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাবার লক্ষ্যে যাতে পেঁয়াজ আমদানি না করতে হয় সেই জন্যই সরকারের বিশেষ উদ্যোগ।

এসব এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, সরকারের এ সফল উদ্যোগ নেয়ার কারণে কৃষি শিল্পে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। পেঁয়াজের বীজ কালো সোনা নামে খ্যাত। কালো সোনা চাষের মাধ্যমে অনেকে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা যায়।