জামালপুরে বনাঞ্চলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে

গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে বনাঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে। বনাঞ্চলের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। বনাঞ্চল গড়ার পেছনে বন ও কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করায় কৃষককূল বনাঞ্চলের দিকে ঝুকে পড়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়েছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই বনাঞ্চল না রয়েছে। গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার শ্রীপুর, বাশচড়া, সাহাবাজপুর,দিকপাইত, রশিদপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষকরা বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপন করে বনাঞ্চল তৈরি করেছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষককের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, জলবায়ুর প্রতিকুল প্রভাব পড়ায় বনাঞ্চল করা অতি গুরুত্ব হয়ে পড়েছে। বন বিভাগ ব্যপক সহায়ত করায় নিজ উদ্যোগে বনাঞ্চল করা অতি সহজে সম্পুর্ণ হয়েছে। শ্রীপুর গ্রামের হাসেম(৪০) সাত্তার(৫০) জানান, অনেকে বন বিভাগের সহায়তায় বনাঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে। গাছ বিক্রি করে অনেকে লাভবান হয়েছে। ফলে অনেকে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।

গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বন ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বনাঞ্চল করার উদ্যোগ ব্যপক আকার ধারন করেছে। সরেজমিনে এ উপজেলাধীন মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া,ডোয়াইল, ডাংধরা, বাট্রাজোর, নাংলা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ রোপন করে বনাঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। মাহাদান গ্রামের কৃষক আবুল (৬০) বলেন কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের স্বনির্ভর করার জন্য বন বিভাগের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে বনাঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের সফল কার্যক্রম গ্রাম গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। বনাঞ্চলের মাধ্যমে গ্রামীন পরিবেশে ও অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।