জামালপুরে বাল্য বিবাহের সংখ্যা কমছে

গণতান্ত্রিক আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলো। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী ছিলো বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় বাল্য বিবাহ কমে গেছে। যদি ও ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে তা অতি গোপনে জেলা প্রশাসন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ বন্ধে ব্যপক প্রচারন চালায়। প্রচারনা করার কারণে অধিকাংশ অভিভাবক সচেতন হওয়ায় বাল্য বিবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার চরঞ্চল গুলোতে বাল্য বিবাহ ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। লক্ষীরচর, রায়ের চর, টেবিরচর, চর যথার্থপুর,কাজিয়ার চরে বাল্য বিবাহ লেগেই থাকতো। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন অভিভাবকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান সরকার বাল্য বিবাহ বন্ধে এ এলাকা গুলোতে ব্যপক গণসচেতনতা করেন। বাড়ী বাড়ী গিয়ে উঠান বৈঠক স্কুল কলেজে লিফলেট বিতরণ সহ পাড়া মহল্লায় মাইকিং করেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন হওয়ায় এ সব এলাকার অধিকাংশ অভিভাবক সচেতন। অভিভাবকরা জানান, এ এলাকা গুলোতে বাল্য বিবাহ একেবারেই বন্ধ।

সরকারের এ সফল উদ্যোগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়ন হওয়ায় বাল্য বিবাহ নেই বললেই চলে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উপজেলা গুলো প্রতিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মী হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। যেখানেই বাল্য বিবাহের খবর পাচ্ছে সেখানেই প্রশাসনের হাতে পড়ছে। ফলে সরকারের সফল উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়েছে।