জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন শুরু

জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলার মাঝখান দিয়ে ভয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল এলাকায় বাধ ভেঙ্গে গ্রামের অধিকাংশ এলাকায় পানি ডুকে পড়েছে। ফলে কৃষকদের অনেক সবজী ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, জামালপুর সদর উপজেলার টেবিরচর, কাজিয়ারচর,চর যথাপুর, লক্ষীরচর, রায়েরচর, নান্দিনা, নরুন্দি, সহ এই সমস্ত চর এলাকা শত শত একর জমি ব্রহ্মপুত্র নদেগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা, কাঁচ বালির জন্য বাংলাদেশ বিখ্যাত সেই সুবাধে জামালপুর সদর উপজেলার ছনকান্দা থেকে শুরু করে নরুন্দি পর্যন্ত বালি উত্তোলন করে নদীর মাঝখানে বালির পাহাড় বানিয়ে রেখেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রবাহিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ সকল এলাকা ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে চর যথার্থপুর থেকে নান্দিনা পর্যন্ত কয়েকটি গ্রাম হুমকীর মূখে পড়েছে।

এ সকল এলাকার গ্রামের লোকজন প্রতিদিন বাড়ী সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সব এলকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাধারন মানুষের ঘরবাড়ী, গরু ছাগলের খামার, ফসলি জমি, গাছের বাগান রয়েছে। এ গুলো হুমকীর মূখে রয়েছে। সদর উপজেলার লাক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির সম্মুখিন। এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় আমরা ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এমন কি ভাঙ্গন রোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডম্পিং করা হবে। আশা করছি ভাঙ্গন থেমে যাবে। রায়ের চর ও লক্ষীরচর এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ(৫০) জানান এবারের ভাঙ্গন যে ভাবে শুরু হয়েছে তাতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হওয়ার পথে।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন কালে সাধারন মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোন যায়। এলাকা বাসী জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি তুলেছেন।