জামালপুরে ব্রি-৮৯ ধানে বাম্পার ফলনে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা

গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় সরকার জামালপুরে কৃষি ভিত্তিক ব্যপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ব্রি-৮৯ ধান ছিলো এর আওতাভুক্ত। এ ধান চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। গ্রামীন অর্থনীতি উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ব্রি-৮৯ ধান চাষ হাতে নেয়। এ উপজেলাধীন লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, কাজিয়ারচর, চর যথার্থপুর, শরীফপুর, ইটাইল, সাহাবাজপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষি বিভাগ ব্রি-৮৯ ধান চাষ প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে। এ ধানে এতো ফলন হয়েছে যা বিগত মৌসুমকে ছাড়িয়ে গেছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় লক্ষীরচরের কৃষক কাদের(৪০) সাত্তার(৪৮) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন ব্রি-৮৯ ধান বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫মন ধান হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শের কারনে বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ব্রি-৮৯ খরা সহিষ্ণু ধান, তীব্র তাপদাহে তেমন ক্ষতি হয় না। রোগ বালাই হয় না বললেই চলে।

সরকারের গ্রামীন অর্থনীতি উন্নয়ন প্রকল্পে কৃষি বিভাগ ব্রি-৮৯ ধান মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে দিয়েছে। ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর, চিকাজানি, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্রি-৮৯ ধান চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে।

মহাদান গ্রামের কৃষক আবুল (৬০) জানান, ব্রি-৮৯ ধান চাষে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করেছে। যারজন্যে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ব্যপারে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সরকার গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে কৃষক সমবায়ের ভিত্তিতে সমন্বয় করে চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে।

এ উদ্যোগের কারনে গ্রামীন অর্থনীতির চাঁকা জোরালো গতিতে ঘুরছে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রি-৮৯ ধান আওতাভুক্ত হওয়ায় কৃষক পর্যায়ে ব্যপক সাড়া পড়েছে।