জামালপুরে মরিচ বিক্রিতে কৃষক পর্যায়ে কোটি টাকার বানিজ্য

সরকার গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে মরিচ চাষের উপর ব্যপক পরিকল্পন নেয়ায় সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা মরিচ হাটে নিয়ে যাচ্ছে। হাট বাজারে মরিচের চাহিদা থাকায় বিক্রিও বেড়েগেছে। চাহিদার কারনে কৃষক পর্যায়ে কোটি টাকার বানিজ্য হবে। যার জন্যে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা মরিচ চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার চরাঞ্চল গুলোতে ব্যপক মরিচ চাষ হয়ে থাকে। সরেজমিনে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ার চর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, এবার মৌসুমে যে পরিমান ফলন হয়েছে যা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এ উপজেলাধীন নান্দিনা, নরুন্দী, পিয়ারপুর বাজারে ঘোরগাড়ি বোঝাই করে মরিচ বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে। কৃষক ফারক(৪০) সাদেক(৪৮) জানান বাজারে নেয়া মাত্র বিক্রি হয়ে যায়। প্রতিমন মরিচের দাম ৩ থেকে ৪হাজার টাকা। কৃষক ফারুক ৩বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে ১৪মন মরিচ পেয়েছে। তিনি মরিচ বিক্রি করে আয় করেন ৫০হাজার টাকা।

সরকারের এ সফল অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচী মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়ন হয়েছে। এ উপজেলার চরাঞ্চল গুলোতে ব্যপক মরিচের চাষ হয়ে থাকে। সরেজমিনে ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, মেরুরচর, ঝগড়ারচর, সহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ার পেছনে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করেছে। যার জন্যে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝগড়ারচরের কৃষক আয়উব আলী(৫০) বলেন এবার মৌসুমে মরিচের চাহিদা ব্যপক। ঝগড়ারচর বাজারে প্রতিদিন লাক্ষাধিক টাকার মরিচ কেনা বেচা হচ্ছে। এ ব্যপারে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ মো: মোখলেছুর রহমান জিন্নাকে প্রশ্ন করা হয়ে তিনি বলেন, গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের সফল পরিকল্পনায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের দাম বেশি পাওয়ায় অধিকাংশ কৃষক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।