জামালপুরে মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষের উজ্জল সম্ভাবনা

গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় কৃষি ভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প কৃষি বিভাগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে মরুভুমির ফল সাম্মাম চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যপক সাড়া পড়েছে। জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় সাম্মাম চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ সাম্মাম চাষের জন্য উদ্যোক্তা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে সর্বত্র সাম্মাম চাষ বৃদ্ধি পাবে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও এ উপজেলার সর্বত্র মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক এ প্রতিবেদক কে বলেন, সাম্মাম মরুভূমির ফল। এ ফল খুবই সুস্বাদু মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত।

এ অঞ্চলের শ্রীপুর, বাশচড়া, সাহাবাজপুর,রশিদপুর, ইটাইল সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় সাম্মাম চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাটি আবহাওয়া সাম্মাম চাষ উপযোগি। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন গ্রামীন মহিলার সাথে এর মধ্যে ইটাইল গ্রামের ফাতেমা (২৮) বাশচড়া এলাকার আয়সা(৩০) জানান, কৃষি বিভাগ সাম্মাম চাষের জন্য উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে অসংখ্য গ্রামীন মহিলা। আশা করা যাচ্ছে সাম্মাম চাষ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

সরকারের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় সাম্মাম চাষের বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যপক সাড়া পড়েছে। কৃষি বিভাগ মহাদান, ভাটারা, মেষ্টা, বালিজুড়ি, ডাংধরা, সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় সাম্মাম চাষের জন্য গ্রামীন মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোক্তা তৈরির কাজ চলছে।

মহাদান গ্রামের ময়না বেগম(৩০) জানান, কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করলে সাম্মাম চাষ বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যপারে এ সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষক সমবায় সমন্বয়ের ভিত্তিতে সাম্মাম চাষের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।