জামালপুরে মসলা জাতীয় উদ্ভিদ চুঁইঝাল চাষের উজ্জল সম্ভাবনা

কৃষি মন্ত্রনালয় কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় ও গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে নানাবিধ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ সব প্রকল্প সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে ব্যপক ভাবে বাস্তাবায়িত হচ্ছে। সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে মসলা জাতীয় উদ্ভিদ চুই ঝাল চাষ প্রকল্প হাতে নেয়ায় জেলার ৭টি উপজেলায় বাস্তাবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অধিকাংশ কৃষকের স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে। পাশাপাশি গ্রামীন অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুইঝাল চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। চুইঝাল চাষ সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ শ্রীপুর, বাশচড়া, সাহাবাজপুর, শরীফপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, চুইঝাল চাষে কৃষি বিভাগ কৃষক পর্যায়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। অধিকাংশ কৃষি বিভাগের ডাকে সাড়া দিয়ে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ব্যপারে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন বাসাবাড়ী সহ হোটেল গুলোতে মাংসের তরকারির স্বাদ বাড়াতে চুইঝালের জুড়ি নেই। ভোজন রসিকদের খুবই জনপ্রিয়। সাথি ফসল হিসেবে চাষ করা যায়।

কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় চুইঝাল চাষ জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নেমে পড়েছেন। তাদের ডাকে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, মেষ্টা,ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, পাথরশী সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকরা সাড়া দিয়েছেন। অনেকেই পতিত জমি ও সাথি ফসল হিসেবে চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। মহাদান গ্রামের কৃষক আবুল (৬০) ভাটারা গ্রামের ফজর আলী(৪৮) জানান, কৃষি বিভাগ চুইঝাল চাষের জন্য বীজ সহ নানাবিধ পরামর্শ দিচ্ছে। তাদের পরামর্শে চুইঝাল চাষ ব্যপক আকার ধারন করবে। এতে মসলার চাহিদা অনেকাংশে কমে যাবে। হাট বাজার গুলোতে চুইঝালের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। তা বিক্রি করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বি হবে।