জামালপুরে লটকন বাগানের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা

সরকারের গ্রামীন অথনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পে কৃষক সমবায় সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার ফলবাগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে লটকনের চাষ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই লটকনের বাগান করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে লটকন সহ বিভিন্ন ফলের বাগান। সরেজমিনে শ্রীপুর,বাশচড়া, সাহাবাজপুর, সোলাকুড়ি, সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে এ এলাকা গুলোতে রয়েছে অসংখ্য লটকানের বাগান। বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে রয়েছে সারি সারি লটকন গাছ।

কথা হয় শ্রীপুর গ্রামের লটকন চাষী সামাদ(৪০) এর সাথে তিনি জানান প্রতি মৌসুমে লাক্ষাধিক টাকার লটকন বিক্রি হয়। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক সমবায় সমন্বয়ে বিভিন্ন ফল বাগান তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়ে ছিলো। এ প্রকল্পের আওতায় লটকন বাগান তৈরিতে সহায়তা করা হয়েছে। যার জন্যে অনেকে লটকন বাগান করে সাফল্য পেয়েছে।

সরকারের সফল প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অনেকেই লটকন বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, মেষ্টা, বাট্রাজোর, চিকাজানি সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন লটকন বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগ কৃষক পর্যায়ে লটকন গাছের কলমের চারা বিতরণ করছে। উদ্বুদ্ধকরন সহ পরামর্শ দিয়েছে।

যারজন্যে লটকনের মাধ্যমে অনেকে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। এ ব্যপারে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ মো: মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কৃষক বান্ধব সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ সব প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।