জামালপুরে লিচুর বাম্পার ফলন

কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সরকার লিচুর বাগানের উপর গুরুত্ব দেয়ায় জামালপুরে লিচু বাগানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইতোমধ্যে অনেকে লিচু বাগান করে স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। এবার মৌসুমে যে পরিমান লিচুর ফলন হয়েছে যা বিগত মৌসুম কে ছাড়িয়ে গেছে। লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতি চাঁঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়,জামালপুর সদর উপজেলা লিচু বাগান সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই লিচু বাগান না আছে। লিচু বাগান তৈরির লক্ষ্যে সরকার বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি বিভাগ উচ্চ ফলনশীল বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাদমি, মোজাফ্ফরপুরী, বেদানা, কালিবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, চায়না-৩, বারী-১, বারী-২, বারী-৩ জাতের লিচু গাছের কলমের চারা বিতরণ করেছে। এ সব চারা নিয়ে শ্রীপুর, বাশচড়া, শরীপপুর, সাহাবাজপুর, পলাশতলা, নরুন্দী, পিয়ারপুর, ইটাইল ও রানাগাছা এলাকায় প্রায় ২শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন লিচু চাষীর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, এবার মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় অনেকে লিচু বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার জন্যে লিচু বাগান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় কৃষি বিভাগ ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, মেষ্টা, নাংলা, আদ্রা,সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রায় শতাধিক লিচু বাগন রয়েছে। এবার মৌসুমে লিচুর বাম্পার ও দাম বেশি পাওয়ায় অনেকে লিচু বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে।

ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে লিচুর চারা সংগ্রহ করা শুরু করে দিয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে লিচু বাগানের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। লিচু চাষী আশরাফ(৪৮) সামাদ(৫০) সাইফুল(৫২) জানান বিগত মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় লাক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে।

কিন্তু এবার মৌসুমে যে ফলন হয়েছে তা কোটি টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরো বলেন, কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে থাকে। এ সব প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।