জামালপুর জনপ্রিয় হচ্ছে মাদ্রাজি ওলকচুর চাষ

কৃষি মন্ত্রণালয় গ্রামীন অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য সারাদেশের ন্যায় জামালপুর কৃষিভিত্তিক একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রকল্পের মধ্যে মাদ্রাজি ওল কচুর চাষ। ওল কচুর চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে এবং কৃষকরা স্বাবলম্বিতা অর্জন করছে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলাকে ঘিরে কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষিভিত্তিক সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকেন। এ উপজেলার সর্বত্র শাকসবজি থেকে শুরু করে প্রায় সবধরনের ফসল চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাদ্রাজি ওল কচুর চাষ ব্যপক আকারে হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শ্রীপুর, বাশচড়া,রশিদপুরসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে মাদ্রাজি ওলকচুর সমারাহ। শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ফরহাদ আলী(৪০) জানান, ১০শতাংশ জমিতে মাদ্রাজি ওল কচুর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি।

তিনি আরাে বলেন, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযােগিতার কারনে এসব এলাকায় মাদ্রাজি ওল কচুর চাষ ব্যপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাে: এমদাদুল হক আওয়ার নিউজ বিডির প্রতিবেদককে বলেন, ওল কচুর চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, প্রতি শতাংশ ওলকচু ১৬০ থেকে ১৬৫ কেজি ফলন দেয়। যার বাজার মূল্য ৬ থেকে ৭হাজার টাকা।

এছাড়া পুষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ ওলকচুতে প্রচুর কার্বােহাইড্রেট, ফ্যাট প্রােটিন, থােয়ামিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মলাদহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপকভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলার সর্বত্রই মাদ্রাজি, ওলকচুর, চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাদান, ভাটারা, বাট্রাজারসহ আরাে বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষক মাদ্রাজি ওল কচুর চাষ করে স্বাবলম্বি হয়েছে।

এব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সমবায় সমন্বয়ের ভিত্তিতে চাষাবাদ করার উদ্যােগ নিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।