‘জামিন’ পাচ্ছে না ২৮ ছাগল
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে দুই মালিকের সঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়া ২৮টি ছাগলের জামিন মিলছে না। মালিকরা জামিনে ছাড়া পেলেও ছাগলগুলি পুলিশের হেফাজতে রয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচি মহকুমায়। খবর বিবিসি বাংলা’র।
দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পশু সহিংসতা আইনসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা থাকায় ছাগলগুলিকে ছাড়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল রাঁচির কঠহল মোড়ে অবস্থিত লাইসেন্সবিহীন একটি মাংসের দোকান থেকে মালিকদের সঙ্গে ছাগলগুলিকে আটক করা হয়।
দোকান মালিক বাবলু মন্সুরি আর সাবির খান জামিন পেলেও ছাগলগুলিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
আটকের পর প্রথমে ছাগলগুলির খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এক পুলিশ সদস্যকে। কিন্তু তার কাজের চাপ থাকায় পরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে এগুলির দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ওই ব্যবসায়ী জানান, তিনি ভেবেছিলেন দিন কয়েকের ব্যাপার। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে তিনি এখন ফেঁসে গেছেন! কবে যে তারা ‘জামিন’ পাবে কেউ জানে না!
রাঁচির নাগরী থানার কর্মকর্তা এ কে সিং জানান, ‘কয়েকটি মামলা থাকায় আদালতের আদেশ ছাড়া ছাগলগুলিকে ছাড়া যাচ্ছে না। আদালত ওই ছাগলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিল। সেটা জমা দেয়া হয়েছে। দ্রুতই এগুলিকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে আশা করছি।’
ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী দীপক ভারতী বলেন, ‘ছাগলগুলিকে ঠিক গ্রেফতার করা হয়নি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলা যায়। যেহেতু এগুলি জীবিত প্রাণী, তাই রিলিজ অফ লাইফ স্টকের আদেশ দিতে হবে আদালতকে।’
তিনি জানান, পশুদের দেখাশোনা করে থাকে এরকম কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে ছাগলগুলিকে তুলে দিতে পারে আদালত। কারণ যেহেতু মাংসের দোকান থেকে পাওয়া গিয়েছিল ছাগলগুলিকে, এটাই সম্ভবত আদালত ধরে নেবে যে সেগুলিকে মেরে ফেলার জন্যই রাখা হয়েছিল।
তবে ছাগলগুলির দুই মালিক জানান, পুলিশ কিন্তু তাদের জানিয়েছে যে ছাগলগুলির ‘জামিন’ করাতে হবে আদালত থেকে। এখন ছাগলগুলির ‘জামিন’ করানোর জন্য কোর্ট আর উকিলের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন