জার্মানিতেই এই তাহলে বাংলাদেশে কী

ইউরোস্ট্যাট নামে একটি অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর একটি প্রতিবেদন নিয়ে জার্মানিতে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানিতে কর্মহীন মানুষ ক্রমশ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাচ্ছে। শতাংশের হিসাবে যা ৭০ দশমিক ৮।

খোলা চোখে জার্মানিকে মনে করা হয় পৃথিবীর বিত্তশালী দেশগুলোর একটি। ইউরোপের অধিকাংশ দেশের মতো জার্মানিও ওয়েলফেয়ার স্টেট বা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র। মাথাপিছু আয়ও এখানে অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি। তারপরও কেন এমন হচ্ছে জার্মানিতে?

ইউরোস্ট্যাট বলছে, জার্মানিতে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না কর্মহীন মানুষের; যদিও কর্মহীন মানুষেরা জার্মানি সরকারের কাছ থেকে অর্থসাহায্য পেয়ে থাকেন। চাকরি যাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে জার্মানিতে বসবাসকারী মানুষেরা তাদের বেতনের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পান। সন্তান থাকলে তা ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে আস্তে আস্তে এই অর্থের পরিমাণ কমতে থাকে। বহুদিন কর্মহীন মানুষেরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে মাসে ৪১৬ ইউরো করে পান। পাশাপাশি বাসস্থানের সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যায়। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, এই পরিমাণ অর্থ জার্মানিতে বেঁচে থাকার পক্ষে যথেষ্ট নয় এবং সে কারণেই কর্মহীন গরিব মানুষেরা ক্রমশ দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যাচ্ছেন।

২০০৫ সাল থেকে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে জার্মানি যে নীতি অবলম্বন করছে একে তারই ফলাফল বলে মনে করছেন একটি সমাজসেবী সংগঠনের সদস্য উলরিখ শ্নাইডার। তিনি দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন।

অদূর ভবিষ্যতে সমস্যাটি আরো চরম আকার ধারণ করবে বলেও শঙ্কা তার।

ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন দেখার পর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের প্রতিবেদন দেখলে বোঝা যায়, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দরিদ্র মানুষ কী চরম সঙ্কটে আছেন। কারণ, পশ্চিমে এখনো জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা আছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে।