জিদানকে কোচ হিসেবে পেতে চায় ফ্রান্স

বল পায়ে ছিলেন দারুণ ক্যারিশম্যাটিক। একাই বলতে গেলে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ফ্রান্সকে। ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন। ২০০০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন্স হয়েছিলেন। ক্লাব ফুটবলে জুভেন্তাস, রিয়াল মাদ্রিদে ছিলেন দারুণ সফল। এক কথায় বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী ছিলেন জিনেদিন জিদান।

ভাল ফুটবলার কখনও ভালো কোচ হতে পারে না- এই ধারণাকেও মিথ্যা প্রমাণ করে দিলেন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দেড় বছরের মধ্যেই যে বাজিমাত করেছেন তিনি, তা দেখে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়। মাত্র দেড় বছরে জিতেছেন ৫টি শিরোপা। এর মধ্যে দুটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, একটি করে লা লিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ এবং উয়েফা সুপার কাপ।

জিদান যে ফুটবল ক্যারিয়ারের মত ডাগআউটে দাঁড়িয়েও এতটা ক্যারিশম্যাটিক হতে পারবেন- তা কল্পনায়ও হয়তো কেউ আনতে পারেনি। কিন্তু সেটাই তিনি দেখিয়ে দিলেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে। কোচ জিদানকে দেখে তো এখন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনেরই লোভ তৈরি হয়েছে তাকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়ে আসার জন্য।

শুধু লোভ তৈরি হওয়াই নয়, ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লি গ্রায়েত জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো একদিন জিদান অবশ্যই ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হবেন।

ফ্রান্স ফুটবল দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ১০৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আরএমসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জিদান সম্পর্কে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি জানিয়ে দেন, একদিন না একদিন জিদান ফরাসীদের কোচ হবেনই। তিনি বলেন, ‘এটা যোক্তিক যে আমরা জিদানের ওপর নজর রাখছি। একদিন জিদান যে ফ্রান্সের কোচ হবেন- এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী হতেই পারি।’

তবে ফরাসী ফুটবলের সভাপতি এটাও জানান, এখনও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে জিদানের। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি মনে করি, রিয়ালকে জিদানের অনেক কিছু দেয়ার আছে। একই সঙ্গে ক্লাবও তার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করতে ভুমিকা রাখবে।’

কার্লো আনচেলত্তির পর রাফায়েল বেনিতেজ রিয়ালের কোচ হয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তাদের পথ ধরে এসে যেন জাদুই দেখিয়েছেন জিদান। এটাই অবাক করেছে ফ্রান্স ফুটবলের বসকে। লে গ্রায়েত বলেন, ‘সত্যি আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, সে যা করেছে। দু-তিন বছর আগে আমি একবার তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখন তাকে বোর্দক্স কিংবা অন্য কোনো ক্লাবে যাওয়ার জন্য উৎসাহ জুগিয়েছিলাম।’