জিয়ার শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে। তিনি যে শিক্ষানুরাগী ছিলেন সেটি তার হিযবুল বাহারে মেধাবীদের নিয়ে সমুদ্র যাত্রায় গিয়েছিলেন সেটিই প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলে শহীদ জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্ট থেকে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তো তিনি দেশের মানুষকে সুশিক্ষা দেওয়ার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, শহীদ জিয়া উন্নয়ন উৎপাদনের কথা বলতেন। তিনিই প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তা করছিলেন। তিনি বাস্তবমুখী শিক্ষার কথা বলেছিলেন। তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি দেশের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতির জীবনে এমন কোনো খাত যেখানে তার অবদান নেই।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিগত সরকার ১৭ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্রাম-গঞ্জের স্কুল কিন্তু সরকারি হয়েছে ঠিকই। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যায় না। এজন্য তারা দায়ী নয়। সরকার জাতিকে মূর্খ করে রাখতে চেয়েছিল। অথচ দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশের শিক্ষার উন্নয়নে অসংখ্য অবদান রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। যার সুফল দেশবাসী পেয়েছে।

ইরান-ইসরাইল প্রসঙ্গে বলেন, আমেরিকা কিন্তু অস্ত্রের কারণে শক্তিশালী দেশ হয়নি। তারা মেধার ভিত্তিতে শক্তিশালী। যদি সারা বিশ্বের এক হাজার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করা হয় তাহলে সেখানে ৭০/৮০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ই আমেরিকার।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।