জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৪ সাক্ষীকে জেরার অনুমতি
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় চার সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পাঁচ সাক্ষীকে জেরার জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে রোববার চার সাক্ষীকে জেরার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন ও নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ।
খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার শুনানিতে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
শুনানি শেষে জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ৫ জুলাই বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের আদালতে পাঁচজন সাক্ষীকে জেরার আবেদন করা হয়।
তাঁরা হলেন মামলার ৬ নম্বর সাক্ষী মুকবুল হোসেন অপু, ১২ নম্বর সাক্ষী মো. আমিরুল ইসলাম, ১৩ নম্বর সাক্ষী অমল কান্তি চক্রবর্তী, ১৫ নম্বর সাক্ষী মো. মামুনুজ্জামান ও ১৭ নম্বর সাক্ষী চৌধুরী এম এন আলম।
এর মধ্যে আদালত আমিরুল ইসলাম ছাড়া বাকি সবাইকে জেরার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
গত ৮ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এবং আরো পাঁচজনকে জেরা করার জন্য পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান তখন শুধু হারুনুর রশিদকে জেরা করার তাৎক্ষণিক আদেশ দেন। আর বাকিদের জেরা করার আবেদন খারিজ করে দেন।
এর বিরুদ্ধে আজ খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিভিশনের আবেদন করেন বলে জানান আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন