জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাকি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে গাইবান্ধাসহ উত্তরের জেলার গ্রামাঞ্চলে ছুটছেন হাজারো মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছে মানুষ। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ঘরমুখো মানুষ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও ট্রাকযোগে বাড়িতে ফিরছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার ধাপেরহাট নামকস্থানে দেখাযায় যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে করে বাড়িতে ফিরছেন। এসময় ঢাকা ফেরৎ মানুষরা ট্রাক, মাইক্রোবাস কাভার্ডভ্যান, এ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়। এদের অনেকের মুখেই ছিলো না মাস্ক। ছিলো না কোনো সামাজিক দূরত্বের বালাই।

এদিকে, ঈদের আগে মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপে যানজট লেগেই রয়েছে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ না মেনে গাদাগাদি করে ফিটনেসবিহীন পরিবহন গুলোতে অবাধে মানুষ ফিরছে বাড়িতে। এতে নানা দূর্ভোগ সহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও সেখানে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।

ট্রাক যোগে ঢাকা থেকে আসা যাত্রী খলিল মিয়া জানান, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রংপুরের গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে এক হাজার টাকা ভাড়ায় ট্রাকে উঠেন। সড়কে তীব্র যাজনজটের কারণে ৩০ ঘণ্টাতেও বাড়িতে পৌঁছাতে পারিনি।

কাভার্ডভ্যানের আরেক যাত্রী বলেন, স্বজনদের টানে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। দূরপাল্লার বাস না থাকায় বিকল্প উপায়ে রওনা হয়েছি। এতে আগের তুলনায় ভাড়া গুণতে হচ্ছে তিনগুণ বেশি। তবু পৌঁছাতে হবে বাড়িতে।