জীবনের সহযোদ্ধা প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে কাঁদছেন রওশন
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভালোবাসার মানুষ। ছায়ার মত সব সময় তাকে আগলে রেখেছেন। এক ছাদের নিচে থাকা না হলেও কখনোই আলগা হয়নি এ দম্পতির বাঁধন।
রাজনৈতিক জীবনের সহযোদ্ধা প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে কাঁদছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ।এরশাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার প্রায় ৬৩ বছরের সংসার জীবন ইতি ঘটলো।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
সংসার ও রাজনৈতিক জীবনের শেষ দিনগুলোতেও এরশাদের পাশে ছিলেন রওশন। জবিন মরণের সন্ধিক্ষণেও শয্যাশায়ী স্বামীর পাশে কোরআন পড়েছেন।
প্রিয়তম স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়েছেন সকালেই।একমাত্র সন্তান রাহগীর আল মাহে সাদ এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই ছুটলেন হাসপাতালে। স্বামীর পাশে যেতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন। তখন থেকেই অনবরত কেঁদেছেন। বন্ধ রেখেছেন নিজের সেলফোন।
৬৩ বছরের অম্ল-মধুর সম্পর্কের ইতি টেনে শূন্য হৃদয় নিয়ে গুলশানের বাড়িতে এখন স্তব্ধ-নির্বাক রওশন এরশাদ।
১৯৫৬ সালে ময়মনসিংহের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে রওশনকে বিয়ে করেন এরশাদ। চাকরির কারণে বিয়ের পরপরই সংসার করা হয়ে ওঠেনি। ওই সময় রওশন নিজের পড়াশোনার জন্য ময়মনসিংহে থেকেছেন। স্ত্রীর জন্য আকুল হৃদয়ে সেই সময় নিয়মিতই ‘ডেইজি’ সম্বোধন করে তাকে চিঠি লিখতেন এরশাদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন