জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে তারা জয়ের আশা করে কীভাবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: যারা জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন দেওয়ার নামে বাণিজ্য করে তারা জয়ের আশা করে কীভাবে?

শুক্রবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন: দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়, কিন্তু তারা জীবন্ত মানুষের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে। তাদেরকে জনগণ ভোট দেবে কেন? ২০১৩, ১৪-১৫, এ বছর গুলোতে প্রায় তিন হাজার ৮০০ থেকে ৯০০ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। ৫০০’র মত মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। এখনো সেই অগ্নিদগ্ধ অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ পুড়িয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে, বাস-ট্রাক-রেল থেকে শুরু করে কিনা পড়িয়েছে; তাদের ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য দেশের মানুষ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন: তারা নির্বাচন কিভাবে করেছে, তিন শ’ সিটে তারা নমিনেশন দিয়েছে নয়শ’র কাছাকাছি অর্থাৎ একটি সিটের পিছনে দু’জন, তিনজন করে নমিনেশন দিয়েছে। যখন যাকে পেয়েছে তাকেই নমিনেশন দিয়েছে। আবার এই নমিনেশন তারা তো অকশনে দিয়েছিল। এর ফলে যে যত টাকা দিচ্ছে সে নমিনেশন পেয়েছে। যে টাকা দিতে পারছে না তার নমিনেশন ক্যানসেল হয়ে যাচ্ছে।! অনেকগুলো সিট আমরা জানি যাদেরকে দিলে তারা জিততো তারা নমিনেশন পায়নি। যারা মনোনয়ন অকশনে দেয় তারা কিভাবে জয়ের আশা করে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন: কেউ কেউ তো আমার কাছে এসে বলেও গেছে লন্ডন থেকে ফোন এসেছে এত টাকা হলে নমিনেশন পাবেন। সে টাকা দিতে পারেনি মনোনয়ন হয়নি। আর কাউকে নমিনেশন দিয়েছে বিদেশে বসে। সে দেশে নাই, বিদেশে বসে নমিনেশন পেয়ে অ্যাম্বাসিতে গেছে নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে। অ্যাম্বাসেডর নমিনেশন পেপার গ্রহণ করবে কিভাবে? যখন অ্যাম্বাসি মনোনয়নপত্র নেয়নি বলেছে, ‘লন্ডনে এত টাকা দিলাম, বললেন অ্যাম্বাসিতে দিলেই হবে। এখন কেন দিতে পারছি না?’

‘যারা নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের ব্যবসা করেছে, বাণিজ্য করেছে তারা জেতার স্বপ্ন দেখে কিভাবে?’

যুদ্ধাপরাধীদের এদেশের মানুষ আর কখনও ভোট দেবে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন: সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের কাউকে কাউকে নমিনেশন দেওয়াতে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের এদেশের মানুষ ভোট দেবে না। একদিকে যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতি আবার মনোনয়ন নিয়ে যে বাণিজ্য, তারা ভোট পাবে কোথা থেকে?