জুনের প্রথম সপ্তাহেই বজ্রপাতে প্রাণ হারালো ৫৬ জন
সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে বজ্রপাতের প্রবণতা দেখা যায়। সেই সঙ্গে মৌসুমগত আবহাওয়ার পবির্তনের সময়েও বজ্রপাতের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এ জন্যে জুন-জুলাইয়েও বজ্রপাতের বড় ঘটনা ঘটে থাকে। এবছর চলতি জুনের প্রায় প্রতিদিনই বজ্রপাত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে নিয়মিত মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে বজ্রপাতে সারাদেশে বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য মতে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ১, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ জুন যথাক্রমে ১, ৫, ৯, ৭, ২৫ ও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে সারাদেশে। তবে ২ জুন বজ্রপাতে কারও মৃত্যুর কথা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ঊর্ধ্বাকাশে এখন প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। এ সময় উত্তর থেকে ঠাণ্ডা হাওয়াও ধাবমান। একদিক থেকে গরম ও আর্দ্র হাওয়া আর অন্য দিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাস- এমন পরিস্থিতে বজ্রপাতের ঘটনাই স্বাভাবিক, যা কয়েক ঘণ্টার স্বল্প সময়ের মধ্যে তীব্র রূপ নেয়।… সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে বজ্রপাতের প্রবণতা দেখা যায়। সেই সঙ্গে মৌসুমগত আবহাওয়ার পবির্তনের সময়েও বজ্রপাতের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এ জন্যে জুন-জুলাইয়েও বজ্রপাতের বড় ঘটনা ঘটে থাকে।’
আরেক আবহাওয়াবিদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘অনেক বজ্রপাত হয়। কিন্তু আমরা দেখি কম। বড় বজ্রপাত হলে আমরা দেখতে পাই। অথবা মেঘ থেকে যেটা মাটি পর্যন্ত স্পর্শ করে সেটা দেখি। অসংখ্য বজ্রপাত হয়, যা চিন্তাও করা যায় না।’
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাতের পরিমাণও বেড়েছে বলেও মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন