জেএমআই থেকে ৩৯ কোটি টাকার সিরিঞ্জ কিনছে সরকার

ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) কার্যক্রমের জন্য শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অটোডিজ অ্যাবল (এডি) সিরিঞ্জ কিনছে সরকার। মঙ্গলবার (২৬) স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সরকার ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেএমআইকে এ ক্রয়াদেশ দিয়েছে।

চারটি লটে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জেএমআই’র কাছ থেকে সরকারের কেনা প্রতিটি ০.০৫ সিসি সিরিঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৭ টাকা ৪৩ পয়সা, ০.১ সিসি সিরিঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা, ০.৫ সিসি সিরিঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা, ৩ সিসি সিরিঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা এবং ৫ সিসি সিরিঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৯২ পয়সা।

সূত্রটি জানিয়েছে, প্রথম লটের কোম্পানিটি ৩১ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার সিরিঞ্জ সরবরাহ করবে। দ্বিতীয় লটে ২৫ মার্চে ১২ কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার, ২৯ এপ্রিল তৃতীয় লটে ১২ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার এবং ২০ জুন চতুর্থ লটে ১১ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৬০২টি সিরিঞ্জ সরবরাহ করবে। যার বাজার সর্বমোট ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬০২ টাকা।

এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোম্পানিটকে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ১৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার একটি কার্যাদেশ দিয়ে ছিল।

জেএমআই গত চার বছর ধরে আমরা ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। আগামী বছরগুলোর জন্য আরো বড় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সমাপ্ত হিসাব বছরে (২০১৯-২০ অর্থবছর) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২১ টাকা ৬৬ পয়সা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট বিক্রয় হয়েছে ১৯৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; যা গত অর্থবছরের চাইতে ২০ কোটি টাকা বেশি।

জেএমআই সিরিঞ্জ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করেছে বলেও জানান তিনি।

উপরোক্ত তথ্যগুলো গত ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) জানানো হয়। সভায় আরো জানানো হয়েছে, করোনার কারণে কারখানা একদিনের জন্যেও বন্ধ রাখা হয়নি।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটিতে ৫০ দশমিক ২৩ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে জাপানের বিশ্বখ্যাত কোম্পানি নিপ্রো করপোরেশনের।