জেনে নিন, প্লাস্টিকের ডিম চেনার সহজ কিছু উপায়
গত কয়েক বছরেই শোনা যাচ্ছে দেশের বাজারে প্লাস্টিকের ডিম ছেয়ে গেছে। চীনে তৈরি এই নকল ডিম একেবারে আসলের মতো দেখতে। তাই তো খালি চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়, কোন ডিমটা আসল, আর কোনটা নকল।
এমনিতেই আজ সব খাবারে ভেজালের দৌরাত্ম চোখে পরার মতো বেড়েছে। এই অবস্থায় যদি দিনের পর দিন প্লাস্টিকের ডিম খেতে থাকেন, তাহলে শরীরের যে আর কিছুই থাকবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন প্রশ্ন হল, কী এই প্লাস্টিক ডিম?
বেশ কয়েক বছর আগে হঠাৎ করেই গুজব ওঠে যে সাধারণ বাজার থেকে সুপারমার্কেট, সব জয়গাতেই এক ধরনের ভেজাল ডিম পাওয়া যাচ্ছে, যা তৈরিতে নানাবিধ ক্ষতিকর কেমিকেলের ব্য়বহার হচ্ছে।
জিপসাম পাউডার, প্যারাফিন ওয়েক্স, বেনজোয়িক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, জিলেটিন, সোডিয়াম অ্যালগিনেট এবং সেলিকাম কার্বোনেটের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করে তৈরি
করা এই ডিম খেলে লিভার খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নার্ভ সেল ড্যামেজ এবং পেটের নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো এখন থেকেই যদি সাবধান না হন, তাহলে কিন্তু বিপদ!
প্লাস্টিক ডিমকে যেহেতু দেখে চেনা যায় না, তাই তো বাঁচতে চাইলে এই প্রবন্ধে আলোচিত পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে এক্ষুন জেনে নিন। এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল…
পদ্ধতি ১:
যদি দেখেন ডিমের খোলাটা খুব চকচক করছে, তাহলে সাবধান! কারণ আসল ডিমের খোসা একেবারেই উজ্জ্বল হয় না। এই পার্থক্য়টা দেখে সহজেই আপনি বুঝে যেতে পারবেন কোন ডিমটা আসল, আর কোনটা নকল!
পদ্ধতি ২:
ডিমের খোসায় একটু আঙুল চালিয়ে দেখুন তো মসৃণ লাগছে না খসখসে। যদি দেখেন খোসাটা মসৃণ, তাহলে বুঝবেন ডিমটি আসল। কারণ নকল ডিমের খোসা একটু হলেও অমসৃণ হয়।
পদ্ধতি ৩:
ডিমটা কানের কাছে এনে একটু নারিয়ে দেখুন তো কিছু শুনতে পান কিনা। আসল ডিমের ক্ষেত্রে কিছুই শুনতে পাবেন না। কিন্তু ডিমটা যদি নকল হয়, তাহলে একবারে অন্য ঘটনা ঘটবে। সেক্ষেত্রে হালকা হলেও আওয়াজ শুনতে পাবেন। কারণ প্লাস্টিক ডিমের ভেতরে যে তরল উপাদান থাকে, তা কেমিকেল দিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে আসল ডিমের কুসুমের মতো হয় না। ফলে নারালেই হলকা আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
পদ্ধতি ৪:
আসল ডিম ভাঙার পর খুব সহজেই কুসুমটা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। কিন্তু নকল ডিমের ক্ষেত্রে কুসুম এবং ডিমের সাদা অংশে লেগে থাকা তরল এক সঙ্গে মিশে যাবে।
পদ্ধতি ৫:
ডিমের খোসাটা আগুনে ফেলে দেখুন তো কী হয়। যদি সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়, তাহলে বুঝবেন ডিমটা নকল। প্রসঙ্গত, আগুনে পোড়ার সময় প্লাস্টিক পোড়ার মতো গন্ধও বের হবে। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন