জেরুজালেম ইস্যুতে এরদোয়ান-পুতিনের যৌথ সম্মেলন
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করায় যখন উত্তেজনা চরমে তখন ওই অঞ্চলে ঝটিকা সফরে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান পুতিন।
ওই দুই নেতা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বাড়বে সে ব্যাপারে একমত তুরস্ক ও রাশিয়া।
এর আগে একদিনের আঞ্চলিক সফরে সিরিয়া ও মিসর হয়ে তুরস্কে যান তিনি। দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় সংবাদ সম্মেলনের কথা বলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে জেরুজালেমের বিষয়টি মীমাংসা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা যে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করবে সে ব্যাপারে রাশিয়া ও তুরস্ক একমত।’
পুতিন আরো বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত অত্র অঞ্চলের পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করে দেবে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।
এদিকে, জেরুজালেম ইস্যুতে আগামীকাল বুধবার তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে বসছে ওআইসির শীর্ষ বৈঠক। এরদোয়ান এ বৈঠককে জেরুজালেম ইস্যুর টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাশিয়া এই বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাবে বলেও জানান তিনি।
গত ৬ ডিসেম্বর রাতে ট্রাম্প এক ঘোষণায় জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন এবং তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার কথা বলেন। এ ঘোষণার পর থেকেই ফিলিস্তিনের বেথেলহেম, পশ্চিম তীর, গাজা ও রামাল্লাসহ অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। ইসরাইলী সেনাদের ট্যাংক ও বিমান হামলায় এ পর্যন্ত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরাইলী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকশ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন