জেলা-উপজেলার নেতাদের নিয়ে গণভবনে আ.লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা, স্বতন্ত্র এমপিদেরও আমন্ত্রণ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নানা বার্তা আসছে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে।

সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠেয় এই সভায় কেন্দ্রীয় ও জেলা-মহানগর ও উপজেলা-থানা-পৌরসভার (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচিত দলীয় জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।

বর্ধিত সভায় দলীয় সংসদ সদস্য ছাড়াও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা-মহানগর ও উপজেলা-থানা-পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ বর্ধিত সভায় সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় আমন্ত্রিত নেতারা বিজয় স্মরণি দিয়ে জাতীয় সংসদের লেক রোড হয়ে গণভবনের এক নম্বর গেইট দিয়ে প্রবেশ করবেন।

সভায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠ) পার্কিং করতে হবে।

এই বিশেষ বর্ধিত সভায় কি বার্তা থাকবে বলে মনে করেন এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে, নিজেদের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। সেটা নিরসন করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা আসবে। এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নানা বার্তা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেবেন।

“নির্বাচনে বিজয়ের পরে দলকে সুসংগঠিত করা, সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে এক হয়ে কাজ করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, বিশেষ করে সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচন এগুলোতে তো আমরা অংশগ্রহণ করছি, সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা এবং নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝিটা হয়েছিল, তা নিরসন করাই লক্ষ্য।”