জৈব সার ব্যবহারে পুঁই শাক চাষে জামালপুরে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা

কৃষি মন্ত্রনালয় গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষক সমবায়ের মাধ্যমে পুইশাক চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পুইশাক চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করায় এতো ফলন হয়েছে যা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। যারজন্যে পুইশাক চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। সরকারের গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক সমবায় সমন্বয়ের মাধ্যমে এ উপজেলাধীন লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর যথার্থপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় পুইশাক চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে সারি সারি পুইশাকের বাগান। কথা হয় লক্ষীরচরের কৃষক কাদের(৪০) শহীদ মিয়া(৪৮) এর সাথে তারা জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতোয় সম্পুর্ন জৈব সার দিয়ে পুইশাক চাষ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, জৈব সারের কারনে পুইশাক নিরাপদ। বাজারে ব্যপক চাহিদা প্রতি কেজি পুইশাক ২০থেকে ২৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, কৃষক সমবায় সমন্বয়ের মাধ্যমে পুইশাক চাষ প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে যারজন্যে পুইশাক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় পুইশাক চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকাংশ কৃষক স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। সরেজমিনে ডাংধরা, পাররামপুর,হাতিবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর,চিকাজানি, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পুইশাক চাষ এতোটাই বেড়েছে যা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি।

কথা হয় ডাংধরা গ্রামের কৃষক কদ্দুস(৫০) এর সাথে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতার কারনে পুইশাকের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ সব ঊপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, কৃষক বান্ধব সরকার গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ সব প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।