জ্যামে আটকে দুই কিলোমিটার হেঁটে গেলেন প্রেসিডেন্ট
সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে আছে ট্রাফিক জ্যামে—এ আর নতুন কী? কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভিআইপিরা কি জ্যামে আটকান। তাও যদি হয় কোনো রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। আমাদের মত দেশে তো কল্পনাও করা যায় না।
এমনটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের বেলায়। প্রচণ্ড জ্যামে আটকা পড়েন তিনি। তাও এক দুই মিনিট নয়। পুড়ো ৩০ মিনিট। নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাতে অবশেষে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধানকে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হয়, তখন অবাক না হয়ে পারা যায় না। বৃহস্পতিবার(৫ অক্টোবর) সামরিক বাহিনীর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বের হয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
পথে জ্যামে আটকে যায় তার গাড়ি। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে দুই কিলোমিটার হেঁটে অনুষ্ঠানে পৌঁছান তিনি। উইদোদোর নিরাপত্তারক্ষী ইলি দাসিলি জানান, ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর প্রেসিডেন্ট গাড়ি থেকে নেমে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন।
জাতীয় পুলিশপ্রধান টিটো কারনাভিয়ানও জ্যামে আটকে ছিলেন। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের পর তিনিও গাড়ি থেকে নেমে তার সঙ্গে হাঁটায় যোগ দেন।
পরে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়, উইদোদো এবং জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সিলেগন শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বের হওয়ার পর পথে জ্যামে আটকা পড়েন। রাজধানী জাকার্তা থেকে সিলেগন পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।
প্রেসিডেন্ট হাঁটছেন, আর পথচারীরা তাকিয়ে দেখছেন। এ বিরল দৃশ্যর গল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
একজন টুইট করেন, সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নিতে গিয়ে একজন প্রেসিডেন্টকে দুই কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে—এটা কীভাবে সম্ভব! কেন তারা তাকে রাস্তায় বিশেষ সুবিধা বা হেলিকপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়নি!
তবে, যাই হোক ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই কাজে বেজায় খুশি ইন্দোনেশিয়ার জনগণ। তাদের মতে প্রেসিডেন্টের এমন সাহসিক কাজ অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন