‘জয় বাংলা’ নিয়ে রাষ্ট্রের নীতি জানতে চায় হাইকোর্ট
স্বাধীনতার যুদ্ধে অনুপ্রেরণাদানকারী স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ‘জয় বাংলা’ নিয়ে রাষ্ট্রীয় পলিসি বা রাষ্ট্রের কোনো বক্তব্য থাকলে তা জানাতে বলেছেন আদালত।
রোববার নির্ধারিত দিনে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড.বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ ছাড়াও এ বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার (১০ নভেম্বর) দিনও নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু আজ রাষ্ট্রপক্ষে রুলের জবাব দিতে সময় আবেদন করা হয়।
আদালত বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে জনগণকে একত্র করেছিল। যার ফলে আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি।
এর আগে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী ড. বশির আহমেদ রিট দায়ের করেন।
বশির আহমেদ বলেন, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই জয় বাংলাকে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর্যন্ত জাতীয় স্লোগান হিসেবে পাইনি।
তিনি বলেন, জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, কোনো ব্যক্তির স্লোগান নয়, এটা হচ্ছে আমাদের জাতীয় একতা। এই স্লোগান দিয়ে একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন