ঝালকাঠিতে চাঞ্চল্যকর নিজ স্কুলের শিক্ষক কর্তৃক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী গৌতম মজুমদার (৩৭)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮

র‌্যাব—৮, সিপিএসসি কোম্পানী এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল অদ্য (০৮ মে) তারিখ সন্ধ্যা ৬:৪৫ ঘটিকার সময় পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন লখকাঠি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঝালকাঠি জেলার সদর থানার চাঞ্চল্যকর শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী গৌতম মজুমদার(৩৭), পিতা—মৃত গৌরাঙ্গ মজুমদার, সহকারী শিক্ষক, হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়াতন, গুয়াটন, থানা—ঝালকাঠি সদর, জেলা—ঝালকাঠি’কে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী গৌতম মজুমদার ভিকটিম মালিহা আক্তার (১৬) কে প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে কৌশলে নিজ ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে গত ০৩/০৫/২০২৪ ইং তারিখে ০৭:০০ ঘটিকার সময় ফাঁকা বাসার দরজা বন্ধ করে ভিকটিমকে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ভিকটিমের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় ভিকটিমের পিতাসহ অন্যান্য আত্মীয়রা আসামীর ভাড়া বাসায় গিয়ে সকাল ১১:০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আসামী কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ও আপত্তিকর ছবি তুলে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপে সংরক্ষণ করে রাখে।

উক্ত ঘটনার পর আসামী ভিকটিমের কপালে সিঁদুর পড়িয়ে বিয়ে করেছে বলে লোক মুখে প্রচার করে। ভিকটিম ও তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে, তার ধারণকৃত ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। উক্ত ধর্ষনের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

উল্লিখিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (৩৯) বাদী হয়ে ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং—০৭, তারিখ—০৬/০৫/২৪ইং।

এমতাবস্থায়, র‌্যাব—৮, সিপিএসসি, ক্যাম্প কতৃর্ক ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে, গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।