ঝড় তুলবে তারা মিয়ার ৪৯ মণের ষাঁড়?
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : সাটুরিয়ার ফেসবুক খ্যাত সেই তারা মিয়া এবার তিনটি সিন্ধি জাতের ৪৯ মন ওজনের ষাঁড় নিয়ে এবারও আলোচনায় আসতে চায়। ২০১৫ সালে কোরবানির ঈদের আগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী গ্রামের তারা মিয়া এক ষাঁড়ের দাম ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়ে সারা দেশে আলোচনায় আসেন। তার ৩ ষাঁড়ের বর্তমান ওজন ৪৯ মণ।
বাড়িতে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে তার ষাঁড়টি নিয়ে গাবতলী হাটে যাবার সময় পুলিশ ও জনতা তাকে অন্তত ২০-৩০ স্থানে আটকে সেলফি তুলে ছেড়ে দেন বলে জানালেন তারা মিয়া।
এ বছর তারা মিয়া ৩টি সিন্ধি জাতের ষাঁড় লালন পালন করে কোরবানি ঈদের হাটে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করেছেন। ৩টি ষাঁড়ই লাল রংয়ের । দেখতে অনেক সুন্দর ঠাণ্ডা প্রকৃতির।
তারা মিয়া ছোট বেলা থেকেই গরু লালন পালন করে শখের বসে। পেশায় একজন মুরগি ব্যাবসায়ী হলেও অনেক যত্ন নিয়ে তিনি গরু মোটা তাজা করে বেশ জনপ্রিয় গরু খামারিতে পরিণত হয়েছেন।
তারা মিয়ার বাড়িতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, তার পরিবারের ৪ জন সসদ্য এ ষাঁড়ের যত্ন নিচ্ছেন। তার তিনটি ষাঁড়ের বর্তমান ওজন সোমবার পর্যন্ত ৪৯ মণ।
তারা মিয়া জানান, দুই বছর আগে ১ বছর বয়সী ৩টি ষাঁড় সাটুরিয়া উপেজেলার বিভিন্ন হাট থেকে সংগ্রহ করেন। তাদের সম্পূর্ণ দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করতে থাকেন । ষাঁড়গুলি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে তারা মিয়ার বাড়িতে।
ষাঁড় পালনে সারা দেশে খ্যাতি পাওয়াতে বড় বড় কম্পানির লোকজন ও অনলাইন শপের লোকরা তার সাথে নিয়মিত মোবাইলে যোগাযোগ রাখছেন।
তারা মিয়ার বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার ষাঁড়গুলির খোজ নিতে আসেন সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ খুরশেদ আলম।
এ সময় তিনি জানান, তারা মিয়ার ষাঁড়গুলো আমি নিজে সবসময় তদারকি করেছি। কোনো প্রকাশ ওষুধ ছাড়াই এগুলো বিক্রি উপযোগী করেছেন তারা মিয়া।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ খুরশেদ আলম বলেন, তারা মিয়ার ৩টি ষাঁড়ই একই রকম দেখতে, তাই মনে যেন যমজ গরু। তার একটি ষাঁড় লম্বায় ৬৪ ইঞ্চি, ভেড় ৮৫ ইঞ্চি ওজন ১৭ মণ, আরেকটি লম্বায় ৬৩ ও ভেড়ে ৮৪ ইঞ্চি ওজন হবে ১৬ মুন, আ যে ষাঁড়টি সবচেয়ে চঞ্চল প্রকৃতির লম্বায় ৬৩ ইঞ্চি ভেড় ৮৪ ইঞ্চি ১৬ মন ওজন। তারা মিয়ার ৩টি ষাঁড়ের বর্তমান ওজন সোমবার পর্যন্ত ৪৯ মণ হলেও ঈদের আগে সবমিলিয়ে ৫০ মণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তারা মিয়ার স্ত্রী আলেয়া আক্তার জানান, স্বামী ও দুই পুত্রসহ আমারা ৪ জন মানুষ ২ বছর ধরে এই ষাঁড়গুলিকে লালন পালন করছি। কেনার পর থেকে ১ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন ৬-৭ শ’ টাকার দেশীয় খাবার লাগত। পরের ৬ মাস ধরে প্রতিদিন ১০০০-১২০০ টাকার খাবার খাচ্ছে।
তার মিয়ার পুত্র জামাল জানান, আমরা এ ষাঁড়গুলোর ভালো দাম পাব বলে আশা করছি। বাড়ি থেকে পয়সাওয়ালা বেপারী বা কম্পানির লোক পাই তাহলে বিক্রি করে দেব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন