টাকার জন্য সত্যিই কি নায়ক-নায়িকারা ‘সবকিছু’ করতে রাজী?
বিভিন্ন কারণেই সাধারণ মানুষের মাঝে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে একটা বদ্ধমূল ধারণা হলো, তারা টাকার জন্য নাকি সবকিছুই করতে পারেন! অন স্ক্রিন কিসিং থেকে শুরু করে …পর্যন্ত। কিন্তু তাদেরও তো ইচ্ছা-অনিচ্ছা বলে কিছু আছে। ক্যামেরার সামনে তারা কী করবেন, কী করবেন না সেটা নিতান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই ছবিতে সাইন করার আগে কিছু শর্ত জুড়ে দেন তারা। আসুন দেখে নেওয়া যাক বলিউড স্টারদের এমন কিছু শর্তাবলী:
রবিবারে কোনো কাজ নয়
অক্ষয় কুমার রবিবার কাজ করেন না এটা বলিউডের সবাই জানে। মোটামুটি এটাই নিয়ম। তবে মাঝে মধ্যে ক্লজের বাইরেও গিয়েছেন অক্ষয়। মিলন লুথরিয়া পরিচালিত ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই দোবারা’র শ্যুটিং শেষ করেছিলেন রবিবারে কাজ করে। ‘ব্রাদার্স’ মুভিটি নির্মাণের সময়ও তিনি রবিবারেও শ্যুটিং করেছেন।
সবটুকুই সেন্টিমেন্ট
বলিউডে যে কয়েকজন পাকিস্তানি অভিনেতা খুব জনপ্রিয়, তাদের মধ্যে একজন আলি জাফর। তিনি আবার নিজের ক্লজে দেশবাসীর ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ‘লন্ডন প্যারিস নিউ ইয়র্ক’ ছবিতে বডি ডাবল দিয়ে চুম্বনদৃশ্য করতে হয়েছিল পরিচালককে। কারণ আলি তো চুমু খাবেন না। পর্দায় ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পর যদি পাকিস্তানের মানুষের সেন্টিমেন্টে ঘা লাগে, তাই!
এক্সট্রা পে, এক্সট্রা ডে
‘মহেঞ্জো দারো’ মুভির পর থেকে হৃতিক রোশন তার চুক্তিপত্রে একটা নতুন শর্ত আরোপ করেছেন। যে শর্ত উল্লেখ আছে, শিডিউল টাইমের বাইরে কাজ করতে হলে প্রতিদিন ‘ওভারটাইম’ দিতে হবে। এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণ কী, সেটা বলা মুশকিল। তবে কি ‘মহেঞ্জো দারো’র পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর একটু বেশিই পরিশ্রম করিয়েছিলেন হৃতিককে দিয়ে?
নো ইন্টিমেসি
কেউ যদি মনে করেন চুমু খাওয়াটা অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত নয়, তাকে কী বলে বোঝাবেন? তার উপর তিনি যদি সোনাক্ষী সিনহার মতো স্টার-কিড হন, তাহলে তো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়! সোনাক্ষী মনে করেন,
অনস্ক্রিন চুমুর কোনো দরকার নেই। ওটা ছাড়াই প্রেম করা যায়। সোনাক্ষীর ক্লজ বলছে, ‘নো ইন্টিমেসি, নো কিসিং’। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতেও আপত্তি তার। কারণ তিনি বলেন, ”দিস ইজ নট আ পার্ট অফ মাই জব!”
ফোটোশ্যুটে আপত্তি নেই
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেই দিয়েছেন, ‘বিকিনি পরা আর ব্রা পরার মধ্যে পার্থক্য আছে। আর সেটা আমি বুঝি। ” মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘কোয়ান্টিকো’তে তার একটা স্নানদৃশ্য নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে সম্প্রতি। প্রিয়াঙ্কা অবশ্য বলেছেন, ‘কোনো পত্রিকার ফোটোশ্যুটে আপত্তি নেই। সেটা গ্ল্যামারাস।
নো কিসিং
বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সালমান খান মনে করেন, ‘কিসিং’ রিয়েল লাইফেই থাক, রিল লাইফে দরকার কী? রিয়েল লাইফে অতটা সাহসী নন সালমান খান। তার প্রত্যেকটা ছবি তার মা দেখেন। আর যেহেতু মা দেখেন, তাই ছেলে পর্দায় চুমু খাবে না এটাই স্বাভাবিক। অতএব ‘নো কিসিং ইন ফ্রন্ট অফ ক্যামেরা’ ক্লজ! বলিউডে এখন যেখানে বোল্ড সিনেমা হচ্ছে, তখন এই ক্লজের মানে কী, সেটাই খুঁজে পাচ্ছেন না সালমানের নিন্দুকরা। তবে কিংসিং ছাড়াই ‘ভাইজান’ একের পর এক সুপার ডুপার হিট সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন